রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: অব্যবস্থাপনার দীর্ঘস্থায়ী চিত্রের করুণ পরিণতি

ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৩৩

সংগৃহীত

রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেশের বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার করুণ প্রতিফলন হিসেবে উঠে এসেছে। গত পাঁচ বছর ধরে অকার্যকর অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা, নষ্ট স্ক্যানার, অপর্যাপ্ত কাঠামো এবং অনুন্নত কার্গো ও ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং-এর মতো সংকটগুলো নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও, যথাযথ সংস্কার না হওয়ায় আজ সেই অব্যবস্থাপনাই বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‎এই অগ্নিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার আমদানি করা মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। তাদের অভিযোগ, দাহ্য সামগ্রী একত্রে সংরক্ষণ করায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।

‎বিশ্লেষকরা বলছেন, উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরগুলোর মতো পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং আলাদা আলাদা ওয়্যারহাউস না থাকায় এই ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহু গুণ বেড়ে যায়। এর আগেও যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি বাংলাদেশে কার্গো হ্যান্ডেলিং নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে তাদের সেবা স্থগিত করেছিল।

‎বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়ার আলোচনা বহুদিন ধরেই শোনা গেলেও, তা বাস্তবায়নের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এরই মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগেজ হারিয়ে যাওয়া, সময়মতো ডেলিভারি না পাওয়া এবং স্ক্যানার নষ্ট থাকার অভিযোগ নিয়মিতভাবে উঠে আসছে গণমাধ্যমে।

‎‎সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আজকের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়— এটি দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার ফলাফল।এই ঘটনার পর কতটা সচেতন হবে কর্তৃপক্ষ, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষায়। 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top