উপদেষ্টার ইশারায় আটক—অভিযোগ সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলের
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৫১
দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন হেড এবং অনলাইন এডিটর অ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান সোহেল অভিযোগ করেছেন—সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় তাকে ডিবি (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) তুলে নিয়ে গিয়েছিল। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এ অভিযোগ প্রকাশ করেন।
সোহেল লেখেন, রাত ১২টার দিকে ডিবি প্রধান কথা বলবেন—এ অজুহাতে ৫–৬ জন ডিবি সদস্য জোর করে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ডিবি কার্যালয়ে ‘আসামির খাতায়’ তার নাম লেখানো হয় এবং জুতা–বেল্ট খুলে গারদে অন্য আসামিদের সঙ্গে রাখা হয়। কেন তাকে আটক করা হলো—ডিবি সদস্য বা ঊর্ধ্বতন কেউই তা জানাতে পারেননি বলেও দাবি করেন তিনি।
দীর্ঘ সময় পর তিনি বুঝতে পারেন—একজন উপদেষ্টার ইশারায় মাত্র ৯ জন মোবাইল ব্যবসায়ীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনার প্রতিবাদ ঠেকাতেই তাকে আটক করা হয়েছিল। তার সঙ্গে সংগঠনের সেক্রেটারি আবু সাঈদ পিয়াসকেও তুলে নেওয়া হয়, যিনি তখনো ডিবিতে অবস্থান করছিলেন।
বুধবার ডিআরইউতে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) বিষয়ে বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)-এর নির্ধারিত প্রেস কনফারেন্স ছিল, যেখানে সোহেল ছিলেন মিডিয়া উপদেষ্টা। তার ভাষ্য—প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু উল্টো পুরো ঘটনা দেশবাসী জেনে গেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, এনইআইআর দেশের মুক্তবাজারনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যা সারাদেশের ২৫ হাজার মোবাইল ব্যবসায়ীকে বিপদের মুখে ফেলবে। অথচ উপকার পাবেন মাত্র ৯ জন ব্যবসায়ী—যাদের একজন সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার স্কুলবন্ধু বলেও দাবি করেন তিনি।
পোস্টে সোহেল আরও লেখেন,
“একটা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বললেই সরকার ভয় পায় কেন? শুধু একটি প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতেই কি আমাকে গভীর রাতে তুলে নিতে হলো? এটা কি তবে বাকস্বাধীনতার বাস্তব চিত্র?”
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।