ভিভিআইপি: কারা পান ও কী সুবিধা মেলে? খালেদা জিয়ার VVIP স্ট্যাটাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৭
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে 'ভিভিআইপি' ঘোষণার পর দেশের সর্বোচ্চ এই নিরাপত্তা ও প্রটোকল নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। কারা পান এই মর্যাদা? আর একজন ভিভিআইপি ঠিক কী কী সুবিধা ভোগ করেন? চলুন, বিস্তারিত জেনে নিই।
ভিভিআইপি, অর্থাৎ ভেরি ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন হলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বাংলাদেশের প্রটোকল অনুযায়ী, এই মর্যাদা সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টার জন্য সংরক্ষিত। তবে, বিদেশি রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা সফরকালে এই প্রটোকল পান। এর বাইরে, সরকার জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনা করে বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তিকে ভিভিআইপি ঘোষণা করতে পারে।
ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী বা এসএসএফ (SSF)। এসএসএফ আইনের প্রধান বিধান হলো – ভিভিআইপি যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া। সম্প্রতি অসুস্থ খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণার পর হাসপাতালের নিরাপত্তায় এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এই প্রটোকলের সুবিধাগুলো অত্যন্ত কঠোর। ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন বিষয়ে এসএসএফ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এসএসএফ কর্মকর্তাদের বিশেষ ক্ষমতা। আইন অনুযায়ী, তাঁরা ভিভিআইপি-এর কাছাকাছি কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারেন। শুধু তাই নয়, যদি সেই ব্যক্তি বলপ্রয়োগ করে বাধা দেন, তবে কর্মকর্তা গ্রেপ্তার কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপায় অবলম্বন করতে পারেন, যা প্রয়োজনে গুলি বর্ষণ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
সড়ক প্রটোকলের ক্ষেত্রেও পার্থক্য আছে। ভিআইপিদের জন্য সড়ক বন্ধ করা নিষিদ্ধ হলেও, ভিভিআইপি-দের চলাচলের সময় সড়কের এক পাশ ফাঁকা করে দ্রুত ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার বিধান রয়েছে। অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া এখন এই মর্যাদার আওতায় হাসপাতালে নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও উচ্চ মর্যাদা পাচ্ছেন।
সবমিলিয়ে, ভিভিআইপি মর্যাদা হলো জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রটোকলের সর্বোচ্চ স্তর, যা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসএসএফকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেয়।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।