খালেদা জিয়াকে বহনের জন্য কাতার সরকার ভাড়া করেছে জার্মান এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৯

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার জন্য কাতার আমিরের বহরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসছে না। এর পরিবর্তে জার্মানির নুরেমবার্গভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপের একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে কাতার সরকার। কোম্পানির ওয়েবসাইটে উড়োজাহাজটি সম্পূর্ণ চিকিৎসা সুবিধাসমৃদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার (সিএল-৬০) সিরিজের দুই ইঞ্জিনের এই জেটটি ২০১৮ সালে নির্মিত। এতে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থার সব আধুনিক সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী উড়োজাহাজটি নুরেমবার্গ থেকে ঢাকায় আসবে এবং পথে জ্বালানি নেওয়ার জন্য বিরতি দেবে।

এফএআই এভিয়েশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, উড়োজাহাজটিতে থাকবে ভেন্টিলেটর, মনিটরিং ইউনিট, ইনফিউশন পাম্প, অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা, ওষুধপত্রসহ পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সরঞ্জাম। এছাড়া উড়োজাহাজে থাকবেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকস, যারা আকাশপথে রোগী পরিবহনে নিবিড় পরিচর্যার অভিজ্ঞতা রাখেন।

উড়োজাহাজটিতে ‘এক্সট্রা করপোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন’ (ইসিএমও) সাপোর্ট সুবিধাও রয়েছে, যা হৃদযন্ত্র বা ফুসফুস বিকল হওয়া রোগীদের কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখতে ব্যবহৃত হয়। সংস্থাটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপদ রোগী স্থানান্তর নিশ্চিত করে। তাদের দলে আইসিইউ নার্স ও পারফিউশনিস্টও আছেন, যারা হার্ট-লাং মেশিন পরিচালনায় বিশেষজ্ঞ।

কম প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন রোগীদের জন্য রয়েছে পোর্টেবল মেডিকেল আইসোলেশন ইউনিট (পিএমআইইউ), যার উন্নত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থায় রোগীর কাছে পৌঁছানোর আগেই বাতাস পরিশোধিত হয়। নবজাতক থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত সব বয়সী রোগীর জন্য আলাদা সেটআপও রয়েছে।

এর আগে কাতার আমিরের ব্যক্তিগত বহরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স খালেদা জিয়াকে বহনের জন্য ঢাকায় এসেছিল, তা ছিল এয়ারবাস এ-৩১৯ সিরিজের উড়োজাহাজ। নতুন বোম্বার্ডিয়ার জেটের আকার ছোট হওয়ায় আগের বিমানে যতো যাত্রী নেওয়া যেত, নতুন জেটের ক্ষেত্রে তার অর্ধেকও নাও যাওয়া সম্ভব হতে পারে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top