উপদেষ্টা আসিফ-মাহফুজ

গণঅভ্যুত্থানের নেতারা সরকারে কেমন করলেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:০৮

সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি দুই উপদেষ্টা—আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম—অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু প্রায় ১৫ ও ১৩ মাস সরকারে থাকার পর তাদের মূল্যায়ন কী? দুর্নীতি প্রতিরোধ সংস্থা টিআইবি বলছে, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের সঙ্গে তাদের ভূমিকার সামঞ্জস্য ছিল না। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও স্বার্থের দ্বন্দ্বের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন আসিফ মাহমুদ। তিনি উন্নয়ন প্রকল্পের লম্বা ফিরিস্তি দিলেও, দুর্নীতি-অনিয়ম দমনে কী করেছেন তা জানাতে পারেননি। তার সময়েই তার নিজ এলাকা মুরাদনগরে সর্বোচ্চ ৪ শত ৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়। সবচেয়ে সমালোচিত হয় তার বাবার নামে তারই আওতাধীন এলজিইডিতে ঠিকাদারি লাইসেন্স হওয়ার ঘটনা। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগাজিন নিয়ে বিমানবন্দরে বিতর্ক এবং এপিএস এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তার ১৫ মাসের কার্যকালকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

অন্যদিকে, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও প্রত্যাশিত সংস্কার আনতে পারেননি। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে তার তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। বরং পূর্বের সরকারের মতোই একই প্রক্রিয়ায় তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের নতুন দুটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভির অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি ঠিকমতো অফিসে আসতেন না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিদায়ী দুই উপদেষ্টা সরকারে থেকে গতানুগতিক কাজই করেছেন, ‘নতুন বন্দোবস্তের’ কোনো বিশেষ অর্জন নেই। তাদের পদত্যাগের পরপরই যুব অধিকার পরিষদ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন এখন এই ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কীভাবে মোকাবিলা করে, সেটাই দেখার বিষয়।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top