তারেক রহমানের ঘোষণা
২০৩৪ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়বে বিএনপি
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৭
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঘোষণা দিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে ২০৩৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্রিলিয়ন-ডলারের অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করা হবে। এই পরিকল্পনা লাখ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং বিশেষভাবে নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তারেক রহমান উল্লেখ করেছেন, “যখন কোনো তরুণী মা পর্যাপ্ত শিশু পরিচর্যার সুযোগ না পেয়ে চাকরি ছেড়ে দেন বা কোনো ছাত্রী পড়াশোনা বন্ধ করেন, তখন বাংলাদেশ হারায় সম্ভাবনা, উৎপাদনশীলতা ও অগ্রগতি।” তিনি আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্য এমন একটি আধুনিক, গণমুখী বাংলাদেশ গড়া, যেখানে কোনো নারীকে পরিবার বা ভবিষ্যতের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে না।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, পুরুষদের ৮০ শতাংশের বিপরীতে নারীদের মাত্র ৪৩ শতাংশ কর্মজীবী। এজন্য তিনি সারাদেশে শিশু পরিচর্যার সুবিধা বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উদ্যোগগুলো হলো:
-
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও অফিসে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন।
-
বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কারখানায় বাধ্যতামূলক ডে-কেয়ার ব্যবস্থা।
-
শিশু পরিচর্যার ব্যবস্থা প্রদানকারী নিয়োগকর্তাদের কর সুবিধা ও সিএসআর ক্রেডিট প্রদান।
-
নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুযায়ী কেয়ারগিভারদের প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট প্রদান।
তারেক রহমানের মতে, শিশু পরিচর্যা সামাজিক দয়া নয়, এটি অর্থনৈতিক অবকাঠামোর অপরিহার্য অংশ। এটি নারীদের কর্মজীবনে স্থায়ীভাবে সংযুক্ত করে, পরিবারে আয় বৃদ্ধি করে এবং জিডিপিতে ১ শতাংশ পর্যন্ত অবদান রাখতে পারে।
তাঁর বক্তব্য, “২০৩৪ সালের মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্রিলিয়ন-ডলারের অর্থনীতি গড়ে তোলা হবে, যেখানে প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে নারী, গর্বের সঙ্গে দেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।” শিশু পরিচর্যা, সমান মজুরি ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নকে বুদ্ধিবৃত্তিক অর্থনীতির অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি সমাপনীতে বলেন, “আসুন, এমন একটি বাংলাদেশ গড়ি যেখানে প্রতিটি কর্মজীবী মা ও প্রতিটি ছাত্রী নিজের সাফল্যের স্বাধীনতা পায়, এবং যেখানে সমাজের যত্ন ও সহযোগিতাকে অগ্রগতির ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।”
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।