সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২

উচ্চ কোলেস্টেরল তরুণদেরও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়মের মধ্যে চললে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:০৪

সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে উচ্চ কোলেস্টেরল একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আগে ধারণা করা হতো এটি মূলত বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত, কিন্তু নতুন গবেষণা দেখাচ্ছে যে তরুণরাও সমানভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ভাজাভুজি ও তেল-মসলাদার খাবারের প্রতি আসক্তি, ধূমপান ও মদ্যপান, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং নিয়মিত শরীরচর্চার অভাব—সব মিলিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে উদ্বেগজনক হারে। চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না আনলে হৃদ্‌রোগসহ মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ওষুধের পাশাপাশি সঠিক জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে মাত্র এক মাসেই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকর পদ্ধতিগুলো হলো—

১. সুষম আহার

গোটা শস্য, প্রচুর শাকসবজি ও ফল খাওয়া উচিত। শস্যে থাকা পুষ্টি ও খনিজ পদার্থ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। তরমুজ, পেয়ারা, আপেল, কমলা, কলা ও পেঁপে নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্যকর ফলাফল পাওয়া যায়।

২. ধূমপান ও মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ

ধূমপান কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, তাই অবিলম্বে এ অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন। মদ্যপান থাকলে সেটাও পরিহার করা উচিত।

৩. নিয়মিত শরীরচর্চা

বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম এবং হাঁটা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। সকালে কিছু সময় যোগাসন ও ধ্যানের জন্য বরাদ্দ রাখলে মানসিক চাপও কমে।

৪. মানসিক চাপ কমান

অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়। নিয়মিত ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া গান শোনা, বই পড়া বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোও উপকারী।

কোলেস্টেরল কমানো কোনো এক দিনের কাজ নয়। তবে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে মাত্র ৩০ দিনেই ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব। সুষম আহার, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হলো কোলেস্টেরল কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায়।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top