তামিম ইকবালের অভিযোগ, ক্রীড়া উপদেষ্টার পাল্টা জবাব
স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৫২

আগামী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। আজ (২২ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিলর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচনের ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা।
গতকাল বিকেলে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক অধিনায়ক ও সভাপতি পদের প্রার্থী তামিম ইকবাল বর্তমান সরকার ও বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন।
‘আমি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ার প্রত্যাশায়। কিন্তু জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে সভাপতির পক্ষ থেকে এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে। এটা কোনো নির্বাচন নয়, বরং মনে হচ্ছে সিলেকশন চলছে। সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। কিছু বিষয় মৌখিকভাবে হয়েছে, যা প্রমাণ দেখানো সম্ভব নয়। তবে কিছু কাজ হয়েছে, যা নথিপত্রসহ প্রমাণ করা যাবে।
নির্বাচন কমিশন গঠনের (১৬ সেপ্টেম্বর) পর থেকে যেকোনো সিদ্ধান্ত কমিশনের মাধ্যমে হওয়ার কথা। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পরিচালকদের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমার সময়সীমা একতরফাভাবে বাড়ানো হয়—প্রথমে ১৯ সেপ্টেম্বর, পরে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।'
তামিম সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও ইঙ্গিত দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া-র দিকে।
গতকাল রাতেই দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় টেলিভিশনে আসিফ মাহমুদ স্পষ্ট করেন, সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করছে না, বরং এটি রুটিন
‘সরকারের রুটিন কার্যক্রমকে যদি হস্তক্ষেপ বলেন, তাহলে বুঝতে হবে সরকারের কতটুকু এখতিয়ার আছে। এখতিয়ারের বাইরে যদি কিছু হয়, তখনই অবৈধ হস্তক্ষেপ বলে ধরা যাবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বা আইসিসির কাছে জানানো যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাউন্সিলর মনোনয়নপত্র ক্রীড়া সংস্থার মধ্য থেকেই দিতে হবে। এটা সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য। যদি অন্যভাবে দেওয়া হয়, তখন হাইকোর্টে রিট হতে পারে। আমাদের অধীনস্থ যে কারো সঙ্গে আমি কথা বলতেই পারি, আমার সচিবও পারবে। এটাকে হস্তক্ষেপ বলার সুযোগ নেই।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা দাবি করেন, নির্বাচনে তামিমকে সামনে রেখে একটি পক্ষ সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।