বৃহঃস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২

জেন-জি সোশ্যাল মিডিয়া আন্দোলন: কেবল ক্রোধ, নাকি বাস্তব পরিবর্তনের পথ?

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৪৪

ছবি: সংগৃহীত

মরক্কো থেকে মাদাগাস্কার, পেরু থেকে কেনিয়া,বিশ্বজুড়ে ১৩ থেকে ২৮ বছর বয়সী জেনারেশন জেড বা জেন–জি তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই আন্দোলনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য হলো––সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উদ্দীপ্ত এবং সমন্বিত হওয়া।

মাদাগাস্কারে বিদ্যুৎ ও পানির ঘাটতির প্রতিবাদে সরকার পতনের মতো ঘটনা ঘটেছে। নেপালে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। কেনিয়ার তরুণরা রাস্তায় ও অনলাইনে সরকারকে জবাবদিহিতার দাবি তুলেছে।

গবেষকরা বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার নতুন নয়। তবে মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজিং অ্যাপ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার মানুষকে দ্রুত একত্রিত করতে সাহায্য করছে। উদাহরণ হিসেবে নেপালে একজন রাজনীতিবিদের ছেলের বিলাসবহুল ক্রিসমাস ট্রি ছবি সামাজিক নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়লে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিক্ষোভকারীরা গল্প, সংহতি এবং কৌশল বিনিময় করে। হংকংয়ের আন্দোলন থাইল্যান্ডের বিক্ষোভকারীদের কৌশল অবলম্বনে সাহায্য করেছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, অনলাইন আন্দোলন নেতৃত্ববিহীন হওয়ায় বিভক্তি, সহিংসতা বা দমনমূলক প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, ২০১০-১৯ সালের মধ্যে গণআন্দোলনের সফলতার হার ৩৪% – আগের দশকের তুলনায় অনেক কম। কারণ সরকার দমনমূলক প্রযুক্তি ও আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য “হাইব্রিড কৌশল” অপরিহার্য––অনলাইন সক্রিয়তা ও বাস্তব জীবনের ধর্মঘট, সমাবেশ ও নাগরিক সংগঠনগুলোর সমন্বয়। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ দেখানো যথেষ্ট নয়; দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য ও কার্যকর নেতৃত্বের প্রয়োজন।

জেনারেশন জেডের সোশ্যাল মিডিয়ার আন্দোলন দ্রুত প্রভাব ফেলে, তবে তা টিকে থাকতে এবং বাস্তব পরিবর্তন আনতে হলে অনলাইন ও অফলাইনের সংহত কৌশল অপরিহার্য।

 

সুত্র: বিসিসি বাংলা



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top