বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিশ্চিহ্ন ঐতিহাসিক স্থাপত্য, ধ্বংস ৮৩৫ মসজিদ

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৭

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্য কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। গাজার মোট ১ হাজার ২৪৪টি মসজিদের মধ্যে ৮৩৫টি সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং ১৮০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হওয়া এসব স্থাপনার অধিকাংশই মামলুক ও উসমানীয় আমলে নির্মিত।

গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও ততক্ষণে পুরো গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতালের পাশাপাশি শতাব্দী প্রাচীন মসজিদ ও ঐতিহাসিক স্থাপনাও রক্ষা পায়নি। মানবিক বিপর্যয়ের এই দুই বছরে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে সাড়ে ৬৭ হাজারেরও বেশি।

গাজার সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন মসজিদ ‘মহান ওমরী মসজিদ’, যা প্রায় ১৪০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। ‘ছোট আল-আকসা’ নামে পরিচিত এই মসজিদটি ৫ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল এবং এটি ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে পরিচিত ছিল।

অন্যদিকে, সাইয়্যিদ হাশিম মসজিদ ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মামলুক আমলে নির্মিত কাতিব আল-ওয়ালায়া মসজিদও ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবরের হামলায় ধ্বংস হয়ে যায়।

এছাড়া চতুর্দশ শতকে নির্মিত ইবনে উসমান মসজিদ, আলী ইবনে মারওয়ান মসজিদ এবং ১৩৬১ সালে নির্মিত জাফার আদ-দিমরী মসজিদ—সবই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

দক্ষিণ গাজার ১৯২৮ সালে নির্মিত গ্রেট খান ইউনিস মসজিদ, যা পরে ৩ হাজার বর্গমিটারের বেশি জায়গায় সম্প্রসারিত হয়েছিল, সেটিও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।

গাজার এই মসজিদগুলো শুধু উপাসনার স্থানই ছিল না, বরং অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের প্রতীক। ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন সেই ঐতিহ্যের স্থানে পড়ে আছে কেবল ধ্বংসাবশেষ।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top