মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে ডারউইনের তত্ত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০২৩, ২৩:০৮

ডারউইনের তত্ত্ব

শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার পর থেকে বিতর্ক-সমালোচনা চলছেই। এসব বইয়ের ‘ভুল তথ্য’ ও ‘অসংগতি’ অতীতের যে কোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। বিতর্কের শীর্ষে রয়েছে ডারউইনের তত্ত্বের বিষয়টি, যেটি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বইয়ে যুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৩ দিন ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা আরএমপির

তত্ত্বে বলা হয়েছে ‘মানুষ বানর থেকে সৃষ্টি’। শিশু শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত এ বিষয়টি যুক্ত করায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে বিতর্কের ঝড়। সংসদেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে। বিভিন্ন ইসলামি বক্তারা ওয়াজ মাহফিল, এমনকি জুমার খুতবায়ও বিয়ষটির প্রসঙ্গ তুলে পাঠ্যবই থেকে বিষয়টি বাদ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিষয়টি আমলে নিয়ে বই থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে এই তত্ত্বটি। বাদ যাচ্ছে আরো বিতর্কিত বিষয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সমালোচনাগুলো যৌক্তিক। এই মতবাদটি মাধ্যমিক স্তরে দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। এছাড়া নির্বাচনের বছরে এভাবে একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সমালোচনা হোক তা সরকার চায় না।

ডারউইনের তত্ত্বের  বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই তত্ত্বটি ইসলাম ধর্মবিরোধী। শুধু তাই নয় এই মতবাদ হিন্দু ধর্মের পণ্ডিতরাও স্বীকার করেন না। এই মতবাদ ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলনী বইয়ের ১১৪ ও ১১৫ পৃষ্ঠায় ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে মানুষ আগে বানর ছিল, আর সেখান থেকেই কালের বিবর্তনে ধাপে ধাপে মানুষে রূপান্তরিত হয়েছে। বইয়ের ১১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘খুঁজে দেখি মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস’ ঠিক তার পরের পৃষ্ঠায় অর্থাৎ ১১৫ পৃষ্ঠায় ‘বিভিন্ন সময়ের মানুষ’ শিরোনাম দিয়ে চারটি ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে মানুষ আগে মূলত বানর ছিল। আর তার পরেই কয়েকটি ধাপে বানর থেকেই মানুষের আকৃতি রূপান্তরিত হয়েছে। 

বিভিন্ন ভুল ত্রুটির বিষয়টি আমলে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত মঙ্গলবার সম্মেলন করে পাঠ্যবইয়ে ভুল সংশোধন ও দায়ীদের ধরতে দুটি তদন্ত কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এই কমিটির সদস্যদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে বলে মন্ত্রী জানান। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই সব বই পায়নি শিক্ষার্থীরা। সব বই পাওয়া গেলে আরো ভুল বের হবে। কয়েক শ সংশোধনী দিতে হবে এনসিটিবিকে। এই ভুলের দায় কোনোভাবে এনসিটিবি ও সংশ্লিষ্ট লেখকরা এড়াতে পারেন না বলে সংশ্লিষ্টরা মত দিয়েছেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top