• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


হিমালয়ের ন্যায্যমূল্য নিয়ে সংশয়ে খামারি

বাগেরহাট থেকে | প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২১, ০৩:০৬

হিমালয়ের ন্যায্যমূল্য নিয়ে সংশয়ে খামারি

তিন বছর ধরে লালনপালন করছেন গরুটিকে। উচ্চতা ও ওজনের কারণে ভালোবেসে এর নাম রেখেছেন হিমালয়। প্রতিদিন খাবার বাবদ হিমালয়ের পেছনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। খামার ও হিমালয়কে লালনপালন করতে গিয়ে দেনা করেছেন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।

গত বছর কোরবানির ঈদে বিক্রি করতে পারেননি করোনার মহামারির কারণে। এবারও মহামারি বেড়েছে। কয়েক দিন পরেই কোরবানির ঈদ। এবারও ন্যায্যমূল্য পাবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত খামারি নাজমুল মোল্লা।

শনিবার (১০ জুলাই) দেখা যায়, বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কাকড়ী গ্রামের নাজমুল মোল্লার (২৫) বিশালাকৃতির গরুটি দেখতে ভিড় জমিয়েছে স্থানীয় ও আশপাশের এলাকার মানুষ। ১১ ফুট লম্বা আর ৬ ফুট উচ্চতার ফ্রিজিয়ান গরুটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি রয়েছে এর রাগ।

নাজমুল মোল্লা বলেন, আমাদের ছয় সদস্যের পরিবার এই খামারের আয়ের ওপর নির্ভর করে চলে। অনেক কষ্টে বড় করেছি হিমালয়কে। এর যত্ন নিতেই কেটে যায় আমার আর বাবার দিন-রাত। ভেবেছিলাম হিমালয়কে একটু ভালো দামে বিক্রি করব, পরিবারের দেনা শোধ করব। গত বছর কোরবানিতেও ষাঁড়টি বিক্রির জন্য চেষ্টা করেছি। হাটেও নিয়েছি। কিন্তু করোনার মধ্যে উপযুক্ত ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারিনি।

তিনি জানান, হিমালয়কে প্রতিদিন ঘাষ, কুটা, দেশীয় ফলমূলের পাশাপাশি দানাদার (খৈল, ভুট্টা, ছোলা, গমসহ নানা প্রকার বীজ) খাবার খাওয়াতে হয়। এসব খাবার কিনতে ধারদেনা করতে হয়েছে আমাকে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও শঙ্কায় রয়েছি, এমন আশঙ্কা করে নাজমুল বলেন, কী হবে জানি না। অনেক শখ ও ত্যাগ স্বীকার করে হিমালয়কে বড় করেছি। এত বড় গরু আশেপাশে কোথাও নেই। গত বছর ১০ লাখ টাকা চেয়েও বিক্রি করতে পারিনি। এবার খরচ বেড়েছে, তাই দাম চাচ্ছি ১২ লাখ টাকা। কিন্তু যদি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে না পারি, তবে খরচ চালাতে আর মানুষের দেনা শোধ করতে আমাদের জমি বেচে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান বলেন, আমাদের জেলায় দিন দিন খামারিদের সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক বছর ধরে ফ্রিজিয়ান, শাহিওয়াল, ব্রাহমা জাতের ষাঁড়ের পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ষাঁড়কে দেশীয় খাবারের পাশাপাশি দানাদার খাবার খাওয়াতে হয়। বাগেরহাটে বড় ষাঁড়গুলো স্থানীয় বাজারে খুব একটা বিক্রি হয় না। তাই আমরা চলমান করোনা পরিস্থিতিতে জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১



বিষয়: বাগেরহাট


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top