• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


সৈয়দপুরে সততা সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির নামে প্রতারণা

নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০২২, ০৬:০০

সৈয়দপুরে সততা সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির নামে প্রতারণা

নীলফামারীর সৈয়দপুরে সততা সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির নামে গ্রাহকদের হয়রানীসহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) ভুক্তভোগীর পক্ষে এই আবেদন করেন খন্দকার জুলফিকার আলী।

অভিযোগে জানা যায়, শহরের মুন্সিপাড়া (কর্ণেল তাহের সড়ক) এলাকার বাসিন্দা গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তফা হাওলাদার উপজেলা সমবায় সমিতি থেকে নিবন্ধন নিয়ে নিজের বাড়িতে সততা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। যার রেজি নং ০২২/২০১৪ । এই প্রতিষ্ঠান দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক-ভিত্তিতে সঞ্চয় ও ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই গ্রাহকদের ঋণসহ নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলছে সাধারণ মানুষকে। এ খপ্পরে পড়ে অন্তত ২শ’ নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের শেষ সঞ্চয়টুকু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। অথচ তিনি দিনে দিনে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। নিজ এবং তাঁর আত্মীয়দের নামে করেছেন অনেক সম্পত্তি।

সম্প্রতি তিনি উত্তরা ইপিজেডের বাবুরহাট এলাকায় ১০ শতক জমির উপর নির্মাণ করেছেন পাঁচতলা বাড়ি। যার বর্তমান মূল্য হবে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এছাড়া অনেক গ্রাহক ঋণ নিয়ে খেলাপি হলে তাঁর কাছে থাকা ওই গ্রাহকের স্বাক্ষরিত সাদা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে ইচ্ছেমত টাকার পরিমাণ বসিয়ে করেছেন মিথ্যা মামলা। তিনি এ সমবায় সমিতির আড়ালে করছেন রমরমা সুদের ব্যবসা। তাঁর বাড়ির কাজের লোক ও বড় বোনকে দিয়ে এ সুদের ব্যবসা পরিচালনা করেন।

ভুক্তভোগী খন্দকার জুলফিকার আলী জানান, সমিতির শুরুতেই আমি এ প্রতিষ্ঠানে মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি। এসময় প্রতিষ্ঠানের পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে শর্তসাপেক্ষে ফেরতযোগ্য তিন লাখ টাকা জামানত হিসেবে নেওয়া হয়। এই টাকা মোস্তফা হাওলাদার সৈয়দপুর শাখার ঢাকা ব্যাংকের নিজের একাউন্টে জমা দিতে বলেন। পর্যায়ক্রমে আমার কয়েকটি পদোন্নতি হয়ে আমি সর্বশেষ শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করি। পরে বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে তিনি চাকুরিচ্যুত করেন। কিন্তু বকেয়া বেতন-ভাতাসহ ফেরতযোগ্য জামানতের তিন লাখ টাকা দিতে গড়িমসি করছেন।

এনএফ৭১/এমএ/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top