এপ্রিলে সড়কে ঝরল ৫৮৮ প্রাণ

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৫, ১২:৪৮

ফাইল ছবি

বিদায়ী এপ্রিল মাসে দেশের সড়কে ৫৯৩টি দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ১২৪ জন। নিহতদের মধ্যে ৮৬ জন নারী এবং ৭৮ জন শিশু রয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীন গতি, অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন আর দুর্বল ব্যবস্থাপনার করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে এবারের পরিসংখ্যানে। রোববার (১১ মে) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ সময়ে ২১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক ১৭৩টি দুর্ঘটনায় ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হয়েছে। নীলফামারী জেলায় দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি হয়নি। রাজধানী ঢাকায় ৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে- ১৭৩টি, যাতে নিহত হয়েছেন ১৫৪ জন। রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৩২ জনের।

জেলাভিত্তিক হিসাবে চট্টগ্রামে ৩৫টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৪৬ জনের। রাজধানী ঢাকায় ঘটেছে ৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনা, যাতে ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন। নীলফামারী জেলায় দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি হয়নি।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে প্রধানত দায়ী ত্রুটিপূর্ণ ও অযোগ্য যানবাহন, বেপরোয়া গতি, অদক্ষ ও মানসিকভাবে অস্থির চালক, বেতন ও কর্মঘণ্টার অনিশ্চয়তা, মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল, তরুণদের অনিয়ন্ত্রিত মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসাধারণের উদাসীনতা এবং বিআরটিএ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ঘাটতি।

সুপারিশ হিসেবে দক্ষ চালক তৈরি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন মানার বাধ্যবাধকতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ এবং আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি, মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top