হাতীবান্ধায় বিদেশ প্রেরণের প্রলোভনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক যুবক
লালমনিরহাট প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৪

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শিপন নামে এক যুবক উধাও হয়ে গেছে। ঘটনার ফলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব সারডুবী গ্রামের শিপন (২৫) দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে বিদেশে লোক পাঠানোর এজেন্সির কর্মী বলে পরিচয় দিতেন। মালয়েশিয়া, দুবাই ও সৌদি আরবে চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে তিনি একাধিক যুবকের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন।
বিশেষ করে স্থানীয় সোহেল রানাকে সৌদি আরব পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেখিয়ে শিপন বিভিন্নভাবে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। প্রথমে ভুয়া কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিংয়ের আশ্বাস দিয়ে তিনি ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস অর্জন করলেও, টাকা নেওয়ার পর থেকেই শিপন উধাও হয়ে যান। তাঁর মোবাইল বন্ধ হয়ে যায় এবং বাড়িতেও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, “সে আমাকে বিদেশে পাঠাবে বলে বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিল। আমরা সব টাকা দিয়েছি। এখন দেখি সে টাকা নিয়ে উধাও। গত নয় মাস ধরে সে গ্রামেও আসে না।”
ভুক্তভোগীর পরিবার গত ৬ অক্টোবর সোমবার হাতীবান্ধা থানায় শিপন ও তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন: শিপন, মজগার আলীর ছেলে মজাদার আলি (৫০), মজগার আলীর স্ত্রী শেফালী বেগম (৪৫) এবং শিপনের স্ত্রী মিম (২৩)।
অভিযুক্ত শিপন বলেন, “তাদের সাথে আমার যা লেনদেন ছিলো তা আমি আমার কোম্পানির বস গোলজারকে দিয়েছি। উনি টাকা ফেরত না দিলে আমি কিভাবে দিই।”
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদন নবী জানান, “বিষয়টির তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শিপনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে মানুষ ক্ষুব্ধ এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, যাতে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব হয়।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।