• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে নিত্যপণ্যের দাম

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৫ মে ২০২৩, ২১:২৬

ফাইল ছবি

নিত্যপণ্যের বাজারে কোনভাবেই স্বস্তি ফিরছে না, উল্টো প্রতিদিনই বাড়ছে দাম। চিনির বাজারে অস্থিরতার মধ্যেই এবার দাম বাড়লো পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের। সরকারের নির্ধারিত দর প্রতি কেজি ১০৪ টাকা হলেও ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে চিনি। প্যাকেট চিনি বলতে গেলে উধাও।

এরই মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫ লিটারের বোতলের দেখা মিললেও আধা লিটার থেকে ২ লিটারের সয়াবিন তেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কম। সরকার নির্ধারিত দাম মানছে না বেশিরভাগ বিক্রেতা। নিত্যপণ্যের লাগামহীন এই মূল্যে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্যাকেটের চিনি খুব একটা নেই। খোলা চিনি পাওয়া গেলেও সরকারের নির্ধারিত (১০৪ টাকা) দরের তোয়াক্কা করছেন না ব্যবসায়ীরা। দোকানিদের কথায়, সব শেষ ঈদের আগে মোকাম থেকে ১৩০ টাকায় চিনি কিনতে হয়েছে।

প্রতি কেজি চিনি কিনতে ভোক্তাদের গুনতে হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। এ ছাড়া নতুন মোড়কের তেল না এলেও কেউ কেউ প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৯৬০ টাকায় বিক্রি করছে।

এক দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ডিম ডজনে বেড়েছে পাঁচ টাকা । দুই দিনে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা এবং মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল, সবজিসহ সব কিছুরই দাম বাড়তি।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, তিন দিন আগে কেজি ৩৫ টাকা করে কিনে বিক্রি করেছনে ৪০ টাকায়। বুধবার থেকে কিনতে হচ্ছে ৪৫ টাকায় তাই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ‘বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে।

এক সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়, করলা ১০০, টমেটো ৫০, শিম ৫০ থেকে ৬০, বাঁধাকপি ৪০, মাঝারি আকারের লাউ ৮০ ও বড় আকারের ১০০, ফুলকপি ছোট ৪০ থেকে ৫০, চালকুমড়া প্রতিটি ৬০, লেবুর হালি ৪০।

এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ৮০, ক্ষীরা ৬০, মটরশুঁটি ৮০, কাঁচামরিচ ১০০, গাজর ৪০ ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় ।গত এক সপ্তাহ ধরে মাছের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি মাছের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।

ক্রেতারা ক্ষোভ জানান। তারা বলেন, কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। কোনো কিছুই নিম্নবিত্তের নাগালে নেই। মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল, সবজি, পেঁয়াজ—সব কিছুরই দাম বাড়তি।

প্রতি কেজি ১৫০ টাকার ব্রয়লার মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায় ।সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।লাল ডিমের ডজন পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়।ব্যবসায়ীরা বলছেন সামনে ডিমের দাম আরো বাড়বে।

সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারি ব্যবস্থা থাকলেও এর সুফল দেখা যাচ্ছে না বাজারে। তাই অবস্থা থেকে পরিত্রাণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ চায় দেশবাসী।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top