আজ কিংবদন্তি কিশোর কুমারের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী
ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৪১

আজ কিংবদন্তি কিশোর কুমারের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল এক এমন কণ্ঠ, যে কণ্ঠে একসঙ্গে ধরা দিত জীবনের আনন্দ, প্রেম, বেদনা আর উদ্দামতা। শুধু গায়ক নয়—তিনি ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। কণ্ঠের জাদু ছাড়াও তিনি ছিলেন একাধারে অভিনেতা, সুরকার, গীতিকার ও পরিচালক।
অশোক কুমারের ছোট ভাই হলেও কিশোর কুমার নিজের প্রতিভায় তৈরি করেছিলেন নিজস্ব সাম্রাজ্য। বলিউডের সঙ্গীত জগতে কিশোর কুমার মানেই ছিল গানের মানদণ্ড। রাজেশ খান্নার সঙ্গে তাঁর জুটি আজও ইতিহাস—২৪৫টিরও বেশি গানে রাজেশের ঠোঁটে প্রাণ দিয়েছেন কিশোরের কণ্ঠ। এছাড়া জিতেন্দ্র, দেব আনন্দ, অমিতাভ বচ্চনসহ অসংখ্য তারকার কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
তাঁর গায়কী ছিল চিরনতুন—একই গানে পুরুষ ও নারী কণ্ঠের অংশ নিজেই গেয়ে চমকে দিয়েছিলেন ‘হাফ টিকেট’-এর “আকে সিধি দিল পে লাগে” গানে। এমন প্রতিভা বলিউডে বিরল। জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেসের এক অনুষ্ঠানে গান গাইতে অস্বীকৃতি জানানোর পর অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দূরদর্শনে তাঁর গান নিষিদ্ধ করা হয়—তবু মানুষের হৃদয়ে কিশোর ছিলেন, আছেন, থাকবেন।
ব্যক্তিজীবনে ছিলেন নিঃসঙ্গ, ছিলেন অদ্ভুত রকমের মজার ও একান্ত নিজের মতো। তাঁর বাড়ির সামনে লাগানো থাকত সতর্কবার্তা—"কিশোর কুমার হইতে সাবধান!" এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন, “আমার কোনো বন্ধু নেই, তাই গাছের সঙ্গে কথা বলি।” একবার শুটিংয়ে হাজির হয়েছিলেন অর্ধেক গোঁফ রেখে—জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন, “আধা পয়সা, আধা মেকআপ!”
আজ, এত বছর পরেও তাঁর গানের সুর বাজে ঘরে, রেডিওতে, স্মৃতিতে।
কিশোর কুমার মারা গেলেও তাঁর সৃষ্টিতে তিনি অমর।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।