অভিনয়ের পাশাপাশি মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে মেহজাবিন
বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১২
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় সফলভাবে যাত্রা করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, অভিনয় দক্ষতা ও নিষ্ঠার ফলেই আজ তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে “চিত্রনায়িকা” উপাধি। নাটকের পর চলচ্চিত্রেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। তবে জনপ্রিয়তার চূড়ায় উঠেও সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে যুক্ত রাখছেন নিয়মিত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় মেহজাবীন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স (টুইটার) ও টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটির কাছাকাছি। সেখানেই তিনি অনুরাগীদের সঙ্গে নিজের কাজ, জীবন ও সামাজিক দায়িত্ববোধের বার্তা শেয়ার করেন।
বিশেষ করে রক্তদানের আহ্বান ও মানবিক সহায়তার পোস্টের মাধ্যমে অসুস্থ রোগীদের পাশে দাঁড়ান তিনি। দেশের যে প্রান্তেই হোক, কোনো মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন পড়লে মেহজাবীন নিজ উদ্যোগে তার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সাহায্যের আহ্বান জানান এবং রক্তদাতা খুঁজে দিতে সহায়তা করেন। এই কাজ তিনি নিয়মিতই করে আসছেন, যা ভক্তদের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে।
চলচ্চিত্রে মেহজাবীনের বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে ‘সাবা’ সিনেমার মাধ্যমে। এটি পরিচালনা করেছেন মাকসুদ হোসাইন। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনওয়ার, রোকেয়া প্রাচীসহ আরও অনেকে। গল্পে দেখা যায়, ‘সাবা’ এক সাধারণ পরিবারের মেয়ে, যার বাবা নিখোঁজ এবং মা হুইলচেয়ারে আবদ্ধ। জীবনের কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করেই এগিয়ে যেতে হয় তাকে।
তবে দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত তার সিনেমা হলো ‘প্রিয় মালতী’। এই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। তিনি এখানে মালতী রানী দাশ নামে এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত, সংগ্রামী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি জীবনের নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে নতুন পথে হাঁটেন। তার বিপরীতে ছিলেন পলাশ কুমার দাশ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্ত।
অভিনয়ে যেমন দক্ষতা দেখিয়েছেন, তেমনি মানবিকতার দিক থেকেও মেহজাবীন চৌধুরী এখন অনেকের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।
নিফ্লা৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।