জামালপুরের তরুণ তারেক, ইসলাম ও সমাজের সুরক্ষায় নিবেদিত

তারেক মাহমুদ পেশায় একজন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং বর্তমানে সাইবার সুরক্ষা টিমের সিনিয়র অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করছেন।

‍তিনি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দা গ্রামের ইউনুছ আলী ছেলে তরুণ তারেক মাহমুদ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম।

তারেকের অনলাইন যাত্রা শুরু হয় মানবতার সেবার উদ্দেশ্যে। ইসলাম ও সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে যুক্ত থাকাকালীন তিনি লক্ষ্য করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক ও ইসলামবিরোধী কনটেন্টের বিস্তার। এখান থেকেই তার সাইবার সিকিউরিটিতে আগ্রহ জন্মায়।

প্রায় চার-পাচঁ বছর ধরে তিনি অনলাইন নিরাপত্তা ও সাইবার সিকিউরিটি খাতে কাজ করছেন তিনি। তার প্রধান দায়িত্বগুলো হলো, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ও ফেসবুক পেজের সিকিউরিটি নিশ্চিত করা। অশ্লীল ও সমাজবিরোধী কনটেন্ট শনাক্ত ও রিপোর্ট করা। সাইবার সুরক্ষা টিমের অপারেশন, পরিকল্পনা ও সমন্বয়। প্রোগ্রামিং টিমের সঙ্গে নিরাপত্তা নীতি বাস্তবায়ন। তার নেতৃত্বে সাইবার সুরক্ষা টিম নিয়মিত শত শত ইউজারের একাউন্ট সুরক্ষিত রাখছে।

তারেক মাহমুদ  জানিয়েছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে পরিচালিত সাইবার মিশনগুলো তাদের প্রধান সাফল্য। এই মিশনে একাধিক ওয়েবসাইট সফলভাবে বন্ধ করা হয় এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের অনলাইন সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।

তিনি বলেন, “আমরা কোনো পুরস্কার চাই না। মানুষের ভালোবাসা আর অনলাইন দুনিয়া নিরাপদ হওয়াই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।”

তারেক মাহমুদের কাজ অনলাইন জগতে ইসলামের সুরক্ষা এবং সমাজকল্যাণমূলক সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।