বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

বিতর্ক ও ভাইরাল কান্নার দুই মূহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:২৯

ছবি: সংগৃহীত

কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদনে তার মা অভিযোগ করেন, “খুব কষ্ট করে মানুষ করছি, এখন পরিচয়ও দেয় না। আমরা গরিব, পরিচয় দিলে যদি ওর মান-ইজ্জত না থাকে।” প্রতিবেদনে বলা হয়, রিপন তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন এবং মা-বাবার খরচ বহন করেন না।

এই প্রতিবেদনের পর স্যোশাল মিডিয়ায় শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অনেকেই তাকে ‘অহংকারী’ ও ‘অবজ্ঞাকারী সন্তান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তবে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে মোড় নেয় একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর। ভিডিওতে দেখা যায়, রিপন মিয়া কান্নায় ভেঙে পড়ছেন এবং মা তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। রিপন বলেন, “তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা? আমার জীবনডা শেষ করলা!”

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার সুর অনেকটাই পাল্টে যায়। অনেকে মন্তব্য করেন, ‘মা-ছেলের সম্পর্ক পবিত্র, এই সম্পর্ক নিয়ে বিচারের আগে ভাবা দরকার’ এবং ‘সাময়িক ভুল হতেই পারে, কিন্তু অনুতাপ থাকলে মাফ হওয়া উচিত।’

রিপন নিজে বলেন, “এই মুহূর্তে কথা বলার মানসিক অবস্থায় নেই। তবে খুব শিগগিরই সব প্রশ্নের উত্তর দেব। আমি আমার পরিবারকে সব সময় দেখে এসেছি, ভবিষ্যতেও দেখব। কারও কোনো কষ্ট থাকলে তা পূরণ করব। তবে যাঁরা আমার সরল মা–বাবাকে নিয়ে ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার একদিন হবেই।”

সোমবার দুপুরে তার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে রিপন অভিযোগ করেন, “কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক কোনো অনুমতি ছাড়াই আমার বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। ঘরে নারী সদস্য থাকার পরও ভিডিও করেছে এবং পরিবারকে হেনস্তা করেছে।”

নেত্রকোনার সদর উপজেলার কাঠমিস্ত্রির ছেলে রিপন মিয়া ২০১৬ সালে ভাইরাল হয় একটি আবেগময় ভিডিও দিয়ে। তখন থেকেই তার সামাজিক মাধ্যমের ফলোয়ার সংখ্যা বেড়েছে এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে তিনি পরিচিতি পান। তবে জনপ্রিয়তার সঙ্গে বিতর্কও তাকে ছাড়ে না।

এ ঘটনায় একবার আবারও প্রশ্ন ওঠেছে—ভাইরাল সংবাদের আড়ালে সত্যটা কোথায়? মা-ছেলের সম্পর্কের পুরো ছবি আমরা কি কখনো জানতে পারি, নাকি আমরা শুধু অংশদেখে রায় দিয়ে দিই?



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top