• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


স্ট্রিট ফুডের শহর, ঢাকা শহর!!

ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০৬

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা,আমাদের শহর প্রাণের শহর। বহু প্রাণের সমাগমে মুখরিত এই শহরের রাস্তায় কিংবা গলিতে দেখা মেলে মুখরোচক অনেক খাবারের। স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত মানুষ, স্কুল ছাত্র থেকে শুরু করে চাকুরীজীবী সবাই ভিড় করে এসব মুখরোচক ও সস্তা খাবারের স্বাদ নেয়ার জন্য।বর্তমানে ঢাকার স্ট্রিট ফুডের জনপ্রিয়তা এতোটাই বেশি যে আন্তর্জাতিক ফুড রিভিউয়ার মার্ক ওয়েনসথেকে শুরু করে খালীদ আল আমেরি, মীর আফসার আলীসহ আরও অনেকেই আসছেন বাংলাদেশে।

স্ট্রিট ফুডের জন্য ঢাকার বেশ কিছু স্থান জনপ্রিয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা এমনকি রাত পর্যন্ত সেসব জায়গায় সরগরম থাকে স্ট্রিট ফুড-প্রেমীদের ভিড়ে। জেনে নেয়া যাক ঢাকার বিখ্যাত কিছু স্ট্রিট ফুড এরিয়া সম্পর্কে।

টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

তারুণ্যের প্রানকেন্দ্র বলা হয় টিএসসিকে। আড্ডা, গল্প, গানে মেতে থাকে সব সময় এই জায়গা। তবে বাহারি স্ট্রিটফুডের জন্যও জনপ্রিয় এই স্থানটি। টিএসসিতে পাওয়া যায় হরেক রকমের চা। এছাড়াও রয়েছে ভেলপুরি, ফুচকা-চটপটি, ঝালমুড়ি,বিভিন্ন রকম ভর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রি হয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন আর মাশরুম ফ্রাই। সুস্বাদু এই খাবারগুলোর দাম ২০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে রয়েছে বলেই তরুণদের মধ্যে এখানের স্ট্রিট ফুডের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।

পল্লীমা সংসদ এলাকা, খিলগাঁও

খিলগাঁও সংসদ এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু ভ্রাম্যমান ফাস্টফুডের দোকান। গাড়িতে করে ফাস্টফুড বিক্রির আইডিয়া বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়। বার্গার, চাউমিন, পাস্তা সহ নানারকম খাবার সুলভমূল্যে উপভোগ করা যায় সেখানে। স্থানীয় মানুষ ছাড়াও অনেকেই খিলগাঁতে যান এই খাবারগুলো খেতে।

১৩ নাম্বার লেক, উত্তরা

উত্তরা ১৩ নাম্বার লেক সাইডে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে খাওয়া যায় নানা রকম স্ট্রিটফুড। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেই সেখানে ভিড় জমান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সহ অন্যান্য পেশার মানুষেরা। লেক সাইডে যেসব ফাস্টফুড পাওয়া যায় তার মধ্যে বেশির ভাগই রুচিসম্মত চিকেন আইটেম। এছাড়াও পাওয়া যায় ফুচকা, চটপটি ইত্যাদি।

লাভ রোড, মিরপুর ২

মিরপুর ২ এ অবস্থিত লাভ রোড জনপ্রিয় তরুণদের আড্ডা দেয়ার জায়গা হিসেবে। এখানে ছোট ছোট অসংখ্য ফুডকার্টে বিক্রি হয় মজাদার খাবার।ফুচকা, চটপটি, ভেলপুরি, নানা ধরনের কাবাব উপভোগ করা যায় খুবই অল্প বাজেটে। টিএসসির মতো এখানেও রয়েছে নানা রকম চায়ের সমাহার। লাভ রোডে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে আড্ডা-গান আর স্ট্রিট ফুডের রাজত্ব।

পরীবাগ ওভারব্রিজ

ঢাকার অন্যান্য জায়গার মতো মানুষের ভিড় নেই পরীবাগ ওভারব্রিজের নিচে অবস্থিত খাবারের জায়গাটিতে। টেলিযোগাযোগ ভবনের সামনে অবস্থিত ফুডকার্ট গুলোই জায়গাটির মূল আকর্ষণ। ফুচকা, চটপটি বাদেও এখানে পাওয়া যায় অনেক রকমের কাবাব। আরও রয়েছে জুস বার। তবে সেখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় কার্ট হলো 'পিজ্জা লাইভ', স্বল্প দামেই খাওয়া যায় কয়েক রকমের পিজ্জা। সন্ধ্যার দিকে এলাকাটিতে অনেক খাদ্যরসিকের সমাগম ঘটে।

মোহাম্মদপুর

মোহাম্মদপুরের রিং রোড, টাউনহল রোডে রয়েছে দেশি- বিদেশি স্ট্রিট ফুডের আয়োজন। ইন্ডিয়ান রাজকচুরি, পাও ভাজি, পাপড়ি চাট, ফালুদা সহ নানারকম খাবার উপভোগ করা যায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। সম্প্রতি নুরজাহান রোড জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নতুন স্ট্রিট ফুড মোমোর জন্য। প্রতিদিন বিকালে ধোঁয়া উঠা মোমো খাওয়ার জন্য সেখানে যান ফুড লাভাররা। সুলভ মূল্যে ভিন্ন স্বাদের এই খাবারগুলো খেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেন অনেকেই।

রবীন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডি

ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর বেশ জনপ্রিয় ঘুরতে যাওয়ার স্থান হিসেবে। সেখানে গুটিকয়েক বড় রেস্টুরেন্ট থাকলেও, মানুষ স্ট্রিট ফুডের প্রতিই বেশি আগ্রহী। সরোবরের ৮ নাম্বার ব্রিজের নিচে বেশ কিছু স্ট্রিটফুড পাওয়া যায়। তার মধ্যে জনপ্রিয় আইটেম হচ্ছে বটি কাবাব, চিকেন চাপ ইত্যাদি। এগুলোর দাম ১০০ থেকে ১৫০ এর মধ্যে। সরোবরে মূলত কাবাব, মগজ ভাজা, পরোটা এই ধরনের খাবারগুলোর প্রচলন বেশি।

ঢাকায় স্ট্রিটফুড জনপ্রিয়তা পাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে স্বল্প দামে ভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়া যায়। এছাড়াও কাজের ব্যস্ততা কিংবা ক্লাসের চাপের মধ্যে থেকে, সব বয়সী মানুষেরা আজকাল বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়াকে রিক্রিয়েশনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে।তা ছাড়াও ঢাকার মানুষের বিনোদনের এক অন্যরকম পথ হিসেবে এই ভোজন রসিকতাটাই বেঁচে নিচ্ছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top