• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২৩, ০৩:০৭

ইভ্যালির রাসেল-শামীমা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এর ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত চার্জগঠনের আদেশ দেন। একই সাথে আগামী ২৯ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

এদিন শুনানিকালে রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী আহসান হাবীব অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। তবে শামীমা নাসরিন পলাতক থাকায় তার পক্ষে শুনানি করতে পারেননি আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

এ সময় রাসেল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তবে শামীমা নাসরিন পলাতক থাকায় নির্দোষ দাবি করতে পারেননি। রাসেলের আইনজীবী আহসান হাবীব এসব তথ্য জানান।

ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।

গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার। গত বছর ১৯ অক্টোবর শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরে তিনি ইভ্যালি অ্যাপসের মাধ্যমে দুটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। দুই আইডি দিয়ে ২৮ লাখের বেশি টাকার পণ্য অর্ডার করেন। বিকাশ, নগদ এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেন। অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাসেও তিনি পণ্য বুঝে পান না। এ বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top