বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস আজ: ‘সুস্থ সূচনা, আশার ভবিষ্যৎ’

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) পালিত হচ্ছে। নিউমোনিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য– ‘সুস্থ সূচনা, আশার ভবিষ্যৎ’।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি ভয়ংকর রোগ। বিশেষ করে শীতের সময় শিশু ও বয়স্করা এর প্রভাব বেশি ভোগে। অপুষ্টি, বায়ুদূষণ, টিকা না নেওয়া এবং অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। তবে অল্প বয়সী স্বাস্থ্যবান ও তরুণরাও আক্রান্ত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। বর্তমানে প্রতিদিন বিশ্বে ৭৩ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর শিশু হাসপাতালে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৮ হাজার শিশু। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নির্দেশনা অনুযায়ী, শিশু চিকিৎসায় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০টি মৌলিক সুবিধা থাকা উচিত। তবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সুবিধা জরিপ ২০১৭ অনুযায়ী, দেশে মাত্র ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই সুবিধাগুলো রয়েছে। বাকি ৯৫ শতাংশ কেন্দ্রেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ওষুধ বা প্রশিক্ষিত কর্মী নেই।

আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ৫২ শতাংশ মারা যাচ্ছে বাড়িতে, কোনো চিকিৎসা ছাড়াই। বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েও মারা যাচ্ছে ৩ শতাংশ, আর হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েও মারা যাচ্ছে ৪৫ শতাংশ শিশু। সংক্রমণ কোন জীবাণুর মাধ্যমে হচ্ছে, তার ৫০ শতাংশ কারণ এখনও অজানা।

চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সমীর কুমার সাহা বলেন, “সংক্রমণ ভাইরাসের মাধ্যমে না ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে তা জানা জরুরি। নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সংক্রমণের কারণ জানা অপরিহার্য।”

আইসিডিডিআরবি’র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতি বলেন, “অপুষ্টিতে থাকা শিশুদের নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি ১৫ গুণ বেশি। প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পালস অক্সিমিটার থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিত।”

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, “শিশুদের জন্মের প্রথম ছয় মাস কেবল বুকের দুধ খাওয়ানোই নিউমোনিয়া প্রতিরোধের বড় হাতিয়ার।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top