বৃহঃস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ২০:১০

সংগৃহীত

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসবেন। আগামী ২২-২৪ নভেম্বর তিনি ঢাকায় থাকবেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে। সফরের মূল আলোচ্য বিষয় হবে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর ও বিস্তৃত করা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম জানান, ভুটানের প্রধানমন্ত্রীসহ ১৩ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সফরে অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ভুটানের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী এবং শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীসহ অন্যান্য শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “বাংলাদেশ-ভুটান সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ এবং আন্তরিক। ধারাবাহিক উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময় এই বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে। ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে প্রথম অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছে।”

তিনি আরও জানান, ২২ নভেম্বর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হবে। পরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যোগাযোগ, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, পর্যটন, সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া ও শিল্পসহ বিস্তৃত সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠক শেষে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো হলো – আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ, ভুটানে বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, এবং কৃষি সহযোগিতা। তবে বিষয়গুলো এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২২ নভেম্বর রাতে প্রধানমন্ত্রী তোবগের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করা হবে। ২৩ নভেম্বর তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এবং দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।

পররাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভুটানের কাছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য, কৃষি, পর্যটন, ক্রীড়া ও অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নতুন সহযোগিতার প্রস্তাব রাখা হতে পারে। বিশেষভাবে বাংলাদেশি পেশাদারদের ভুটানে নিয়োগ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পানি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা চাওয়া হতে পারে। আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২৪ নভেম্বর সকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top