এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত: প্রধান উপদেষ্টা
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদীর ওপর হামলাকে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক জরুরি বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে এটি অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, “এই ধরনের অপশক্তির হামলা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। যে কোনো মূল্যে এসব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।”
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “যত ঝড়-তুফানই আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। দেশের আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।”
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, শরিফ ওসমান হাদীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ইতোমধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যে করেই হোক দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।” একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়ার আহ্বান জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলাকারীরা যাতে দেশ ছাড়তে না পারে, সে জন্য সীমান্তে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে তাদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন চালু করা হবে। একই সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য আশ্রয়স্থলে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও সভায় জানানো হয়।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।