বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে-কমছে

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (২ জুন) বেলা ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা এই বাজেট পেশ করেন। এটি দেশের ৫৫তম বাজেট। সেই সাথে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তর্বতী সরকারের প্রথম বাজেট।

এর আগে, আজ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় কমেছে।

বাজেটের আকার, লক্ষ্যমাত্রা, জিডিপির হিসাব বাজেটে এসব গুরুত্ব পেলেও সাধারণ মানুষের প্রধান আগ্রহ থাকে বাজেটের কারণে কোন পণ্যের দাম বাড়তে পারে বা কমতে পারে। মূল্যস্ফিতির কারণে সাধারণ মানুষ চাওয়া বাজেটের কারণে তাদের নিত্য পণ্যের দাম কমুক।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক-কর কমানো প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আবার কিছু পণ্যে শুল্ক-কর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।

শুল্ক পরিবর্তন করায় দাম কমতে পারে চিনি, তরল দুধ, লবন, কমফ্যাট যুক্ত সয়াবিন তেল ও জ্বালানি তেলের দাম।

প্রেসার কুকার, ব্লেন্ডার, জুসার ইলেকট্রিক কেটলি, রাইস কুকারের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি থাকায় দাম কমতে কমতে পারে। কমতে পারে বলপয়েন্ট পেন ও কম্পিউটার মনিটরের দামও।

ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য সুখবর দাম কমতে পারে ইনসুলিনের। স্যানিটারি ন্যাপকিন, আইসক্রিমের দাম কমতে পারে।

অন্যদিকে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে- মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন ও ব্লেন্ডার, প্লাস্টিকের তৈজসপত্র, এলপিজি সিলিন্ডার, বিদেশি চকলেট, ব্লেড, লিপস্টিক, সাবান ও শ্যাম্পু।