মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে খুন সন্দেহভাজন সেই গৃহকর্মীর বারবার স্থান পরিবর্তন
স্টাফ রিপোর্টার । ঢাকা | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২০
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন গৃহকর্মী আয়েশা আক্তারকে শনাক্তের পর তাকে ধরতে তৎপরতা আরও জোরদার করেছে পুলিশ। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তার গতিবিধি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলেও গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ক্রমাগত অবস্থান পরিবর্তন করছেন।
মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বলেন, “সন্দেহভাজন গৃহকর্মীকে মোটামুটি শনাক্ত করা গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে কয়েকটি স্থানে অভিযান চলছে।”
সোমবার রাতে নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। তিনি জানান, চার দিন আগে জেনেভা ক্যাম্পের তরুণী আয়েশা আক্তারকে খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে রাখা হয়।
আজিজুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। এরপর স্ত্রী লায়লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বেলা ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন স্ত্রী গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নসহ মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। আর মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ (১৫) গুরুতর জখম অবস্থায় গেটের কাছে পড়ে ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক নাফিসাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর পুলিশ ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে সাদা সালোয়ার–কামিজ, প্রিন্টের ওড়না ও স্নিকার্স পরা এক তরুণী ভবন থেকে বের হচ্ছেন। মুখে মাস্ক ও পিঠে একটি ব্যাগ ছিল। গেটের সামনে বসে থাকা তিনজনের একজন তাকে গেট খুলে দেন। এরপর তিনি একটি অটোরিকশায় উঠে সেখান থেকে চলে যান।
তদন্ত কর্মকর্তাদের সন্দেহ—হত্যার পর আয়েশা নাফিসার পোশাক পরে বেরিয়ে যান, যাতে সহজে শনাক্ত না করা যায়। ঘটনার পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আয়েশাকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ হওয়ার আগের অবস্থান ও সম্ভাব্য পালানোর পথগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।