মোহাম্মদপুর
মা-মেয়ের হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজন গৃহকর্মী, মূল্যবান জিনিসপত্রই প্রধান মোটিভ?
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা ও মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশের নজরে আছেন চার দিন আগে ওই পরিবারের বাসায় কাজ নেওয়া গৃহকর্মী আয়েশা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার রাতে দায়ের হওয়া মামলায় বাদী জানিয়েছেন, বাসা থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, অর্থসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র গায়েব হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পালানোর সময় আসামি তার কাঁধের ব্যাগে এসব নিয়ে গেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বলছে, হত্যার মূল মোটিভ মূল্যবান জিনিসপত্রে থাকতে পারে। তবে মা-মেয়েকে একাই হত্যা করেছে কি না তা নিশ্চিত করতে এখনো তদন্ত চলছে। বাসার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে অন্য কাউকে দেখা যায়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গৃহকর্মী নিজেকে আয়েশা নাম দিয়ে পরিচয় দিয়েছে, তবে তার প্রকৃত নাম-পরিচয় এবং অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে। খোঁজে জানা গেছে, খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে শেষবার শনাক্ত হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছে, নিহতরা হলেন মা লায়লা আফরোজ (৪৮) এবং তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)। মামলায় বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে আসামি বাসায় কাজের জন্য প্রবেশ করে। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে মেয়েটির স্কুল ড্রেস পরে সে বাসা থেকে পালিয়ে যায়, এবং সেই সময় বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস সঙ্গে নিয়ে যায়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে বাদী আ জ ম আজিজুল ইসলাম তার কর্মস্থলে অবস্থান করছিলেন। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। পরে বাসায় ফিরে দেখেন, মেয়ের গলায় কাটাছেঁড়া এবং মা রক্তাক্ত অবস্থায়। মেয়েকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতদের দাফন অনুষ্ঠিত হয়েছে নাটোর শহরের গাড়িখানা কবরস্থানে। জোহরের নামাজের পর শহরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দাফনের সময় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও এলাকার মানুষ শোকাহত হয়ে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছেন, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং হত্যার পুরো ঘটনা উদঘাটনের জন্য তদন্ত অব্যাহত আছে।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।