মসজিদমুখী প্রজন্ম গড়ে তুলতে দরকার পরিবেশ ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন
ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০১
মসজিদ মুসলিম সমাজের হৃদয়ভূমি—শুধু নামাজের স্থান নয়, বরং ঈমানি শক্তি, ইসলামী শিক্ষা, সামাজিকতা ও আত্মিক গঠনের কেন্দ্র। তাই কোনো এলাকায় মসজিদ না থাকলে সেখানে মুসলিম পরিবারের বসবাস অনুচিত বলেও অভিমত দেন অনেক আলেম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অধিকাংশ মসজিদে তরুণদের উপস্থিতি আশানুরূপ নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মসজিদমুখী করতে হলে মসজিদের পরিবেশ, মনোভাব ও ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন জরুরি।
এই লক্ষ্য অর্জনে মসজিদকে তরুণবান্ধব করতে ছয়টি পরামর্শ তুলে ধরা হলো—
১. মসজিদের সংস্কৃতি বদলাতে হবে
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—যারা ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না, তারাই মসজিদ আবাদ করে (সূরা তওবা:১৮)। কিন্তু বাস্তবে অনেক জায়গায় শিশু ও তরুণদের প্রবেশে অসৌজন্যমূলক আচরণ দেখা যায়। কারও পোশাক নিয়ে মন্তব্য, আবার কাউকে মসজিদে ঢুকতে নিষেধ—এসব কারণে তরুণেরা দূরে সরে যায়। ব্যবস্থাপনা কমিটি, স্বেচ্ছাসেবক ও দায়িত্বশীলদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
২. স্বেচ্ছাসেবকদের আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করুন
মসজিদের স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব দেওয়াই শেষ নয়; তাদের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। এতে মসজিদের পরিবেশ আরও সুশৃঙ্খল থাকে এবং তরুণদের জন্য ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তৈরি হয়।
৩. পরিচালনায় তরুণদের প্রতিনিধিত্ব
মসজিদ পরিচালনা কমিটিতে অন্তত একজন তরুণকে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে তাদের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছায়—তাদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তনের জন্য তরুণদের অংশগ্রহণ বাস্তবসম্মত ও কার্যকর।
৪. ক্যাফে বা কর্মস্থল গড়ে তোলার উদ্যোগ
বর্তমান সময়ে তরুণদের জন্য বিকল্প সামাজিক ও শিক্ষামূলক জায়গার চাহিদা বাড়ছে। মসজিদের আশপাশে ছোট ক্যাফে, স্টাডি স্পেস বা আড্ডাস্থল তৈরি করা গেলে তারা স্বাভাবিকভাবেই মসজিদকেন্দ্রিক পরিবেশে বেশি সময় কাটাবে।
৫. জুমায় তরুণ খতিবদের সুযোগ
জুমার খুতবায় তরুণ খতিব দেখা গেলে বোঝা যায়—সেই মসজিদ ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি করছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, তরুণ খতিব ইসলামী জ্ঞান, সময় ও সমাজ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। প্রয়োজনে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।