মেসি মায়ামিতেই শান্তি খুঁজে পেয়েছেন
ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:২৪
ঘন ঘন দল বদলের অভ্যাস নেই লিওনেল মেসির। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন স্পেনের বার্সেলোনায়, যেখানকার কাতালান শহরটিকে নিজের দ্বিতীয় ঘর বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তবে বছর চারেক আগে চোখের জলে বিদায় নিতে হয়েছিল সেই ঠিকানা থেকে। এরপর যোগ দেন ফ্রান্সের পিএসজিতে, কিন্তু দুই বছরের মধ্যেই সেখানে শান্তি খুঁজে পাননি এই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারকা।
অবশেষে নতুন আশ্রয় খুঁজে পান যুক্তরাষ্ট্রে। দুই বছর আগে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে যোগ দেন ইন্টার মায়ামিতে। আড়াই বছরের চুক্তিতে সই করেছিলেন এই ভেবে—‘যদি ভালো না লাগে’। কিন্তু সেই সন্দেহের জায়গা আর রইল না। মায়ামিতেই শান্তি পেয়েছেন মেসি। পরিবার, সন্তানদের স্কুল এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থিতু হওয়ার পরিকল্পনা—সব মিলিয়ে এখানেই থাকতে চেয়েছেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি।
ফলাফল—ইন্টার মায়ামির সঙ্গে আরও তিন বছরের নতুন চুক্তি। অর্থাৎ ২০২৮ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির জার্সিতেই দেখা যাবে মেসিকে, তখন তাঁর বয়স হবে একচল্লিশ।
মেসির আগমনের পর থেকেই ইন্টার মায়ামির ফর্চুন বদলে গেছে। ক্লাবটির রাজস্ব আয় বছরে দ্বিগুণ বেড়ে এখন প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার। গোলাপি রঙের ১০ নম্বর মেসি জার্সি, ম্যাচ টিকিট, বিজ্ঞাপন—সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে মেসির প্রভাব।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ নতুন স্টেডিয়াম ‘মায়ামি ফ্রিডম পার্ক’ উদ্বোধনের সময়ও তাঁকেই সামনে রাখতে চায়। ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষম এই আধুনিক স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের শুরুর দিকে। বৃহস্পতিবার সেই স্টেডিয়ামের মাঠেই মেসিকে নিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করায় ইন্টার মায়ামি কর্তৃপক্ষ।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর মেসি বলেন,
“এখানে আসার পর থেকেই আমি দারুণ খুশি। সে কারণেই আরও কিছু বছর এখানে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা মায়ামির ফ্রিডম পার্কে খেলার অপেক্ষায় আছি। এই প্রকল্পের অংশ হতে পেরে, মায়ামির স্বপ্নের পাশে থাকতে পেরে আমি সত্যিই খুশি।”
ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।