• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


২০২২ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন জার্মান বিজ্ঞানী সুভান্তে প্যাবো

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২২, ০৩:১৮

বিজ্ঞানী সুভান্তে প্যাবো

আদিম মানুষের জিনোম উদঘাটন ও মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ সময় সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি বিজয়ী হিসেবে এই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেন।

হোমিনিনি বা একটি আদিম উপজাতি, যা মূলত মানব হিসেবে বিবেচিত হয় এবং যা মানুষের সরাসরি পূর্বপুরুষ বা মানুষের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত সেই প্রজাতিগুলোকে বোঝায়।

পুরস্কারের বিষয়ে বলতে গিয়ে ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল কমিটির সেক্রেটারি থমাস পার্লম্যান বলেন, অগ্রগামী গবেষণার মাধ্যমে, সান্তে প্যাবো যা অর্জন করেছেন, তা কেউই ভাবতে পারেনি: নিয়ানডার্থালের জিনগত ভরের ম্যাপিং, বর্তমানে জীবিত মানুষের বিলুপ্ত আত্মীয়।

প্যাবোর আবিষ্কারগুলো গবেষণা প্যালিও-জেনেটিক্স বা আদিম প্রজননশাস্ত্রের দুনিয়ায় একটি সম্পূর্ণ নতুন গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করেছে বলে জানায় নোবেল কমিটি।

সান্তে প্যাবো ১৯৫৫ সালে স্টকহোমে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলেতে পোস্ট-ডক্টরাল সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯০ সালে মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় নিয়োজিত হন।

প্যাবো ১৯৯৯ সালে ‘বিবর্তনীয় নৃবিজ্ঞান’-এর জন্য ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট, লিপজিগ প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে তিনি বর্তমানেও কর্মরত রয়েছেন। ২০২০ সাল থেকে তিনি জাপানের ওকিনাওয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে একজন সহযোগী অধ্যাপক হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন।

এদিকে, নাম ঘোষণার আগে চিকিৎসায় নোবেলের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বরাবরের মতোই সব নথিপত্র অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে রেখে তা জনসাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়।

১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে এই বছরের কার্যক্রম শেষ হবে।

২০২১ সালে তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান।

১৮৯৫ সালে বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে।

সেময় পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।

প্রত্যেক পুরস্কারের জন্য সনদ ও সোনার মেডেলসহ এক কোটি ক্রোনা বা নয় লাখ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। ১৯০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬০৯ বার এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।






পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top