• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ন্যাটো-ইউক্রেন ঐক্যে ভাঙন, পুতিনের আশা কী পূরণ হচ্ছে

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২৩, ২০:১৯

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের জন্য নতুন করে আরও ৪০ কোটি ডলার মূল্যের একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রাথমিকভাবে এতে কামান, বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্থল যানবাহন থাকবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই জন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন এই অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজে ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র (গুচ্ছ বোমা) অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, সামরিক সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু স্ট্রাইকার সাঁজোয়া কর্মীবাহক, মাইন ক্লিয়ারিং সরঞ্জাম, ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমের জন্য যুদ্ধাস্ত্র, হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম বা হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র, জ্যাভেলিনসহ ট্যাঙ্ক-বিরোধী অস্ত্র এবং কর্মকর্তাদের জন্য প্যাট্রিক্রাফ্ট এবং অ্যান্টি-এয়ার সিস্টেমের জন্য যুদ্ধাস্ত্র। তবে প্যাকেজটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি এবং এতে পরিবর্তনও আসতে পারে।

এদিকে, এক বছরের বেশি সময়ের রক্তক্ষয়ী ও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পর এটা মোটেও কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নয়। ইউক্রেনে রাশিয়ানদের আগ্রাসনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অপরিমেয়। প্রথম ও সর্বাগ্রে ক্ষতিটা হয়েছে ইউক্রেনের। কিন্তু সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ন্যাটোর সদস্যদেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। এ যুদ্ধের কারণে তাদের মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় অনেকটাই বেড়েছে।

ন্যাটো এখন নতুন সামরিক মতবাদে নিজেকে সজ্জিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সামগ্রিকভাবে ইউরোপ মহাদেশের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ও দাঁতভাঙা জবাব দিতে সক্ষম স্থল ও আকাশযুদ্ধের প্রস্তুতির ওপর জোর দিচ্ছে ন্যাটো। ইরাক কিংবা আফগানিস্তানের মতো একটি এলাকায় সীমাবদ্ধ যুদ্ধের পুরোপুরি বিপরীত এ অবস্থান। 

ন্যাটোর সদস্যদেশগুলোর সামনে প্রশ্ন হলো, ইউক্রেনকে যে পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিচ্ছে, তাতে নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য তাদের যথেষ্ট অস্ত্র থাকবে কি না অথবা ইউক্রেন যখন যা চাইবে, তখন তাদের সেটা দিতে হবে কি না। এ প্রশ্নে এবারের সম্মেলনে উদ্বেগ ও চাপ ছড়িয়ে পড়েছিল। এর কোনোটিই রাশিয়ার জন্য ভালো সংবাদ নয়; যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তিটি ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। ইউক্রেনে আগ্রাসন যদি তারা দ্রুতগতিতে চালিয়ে শেষ করতে পারত, তাহলে রাশিয়া নিজেদের পক্ষে নিতে পারত।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top