• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


গাজার হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টার জ্বালানি অবশিষ্ট আছে ! অত:পর ...

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:৩৫

ছবি: সংগৃহীত

বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর একের পর এক হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৫০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ, এর মধ্যে বেশি শিশু ও নারী। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এমন অবস্থায় গাজার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ব্যথার আর্তনাদ।

গাজার হাসপাতালগুলোতে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার জ্বালানি মজুদ আছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দফতর। সোমবার (১৬ই অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। 

গেলো রোববার গাজার হাসপাতালের চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছিলেন, হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ও চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রী ফুরিয়ে আসায় হাসপাতালে ভর্তি হাজার হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন।এদিকে, গাজা উপত্যকার হাসপাতালে মরদেহের সারি বাড়ছে। একে একে জড়ো হচ্ছেন আহতরা। গাজার প্রধান হাসপাতাল আল সিফা হাসপাতালের অবস্থা এখন সবচেয়ে বেশি সংকটময়।

গাজায় সাহায্যকারী সংস্থার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বিদ্যুৎহীন হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে জেনোরেটর চালিয়ে। তবে এতেও দেখা দিয়েছে বেশ বিপর্যয়। আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার জ্বালানি আছে সেখানে। একই সঙ্গে ফুরিয়ে আসছে খাবারও।

জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় তার ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ‘জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার ফলে ব্যাকআপ জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে গাজার গুরুত্বর অবস্থার হাজার হাজার রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।’ জ্বালানি ও পানিসহ মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বেশ কয়েকটি ত্রাণ সংস্থা গাজায় প্রবেশের আহ্বান জানানোর পরে এ সতর্কবার্তা দিলো জাতিসংঘ।

এর আগে, গাজায় ডক্টরস উইদাউট বর্ডার থেকে কর্মরত ব্রিটিশ-ফিলিস্তিনি সার্জন ঘাসান আবু সিত্তা সতর্ক করেছিলেন যে তার হাসপাতালের কর্মীদের আহত রোগীদের সাহায্য করার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। তিনি বিবিসিকে বলেন, "চিকিৎসা সরবরাহের ক্ষেত্রে, এই জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা প্রতিদিন এক মাস বা দেড় মাসের চিকিৎসা সরবরাহ করি।"

এদিকে গাজা উপত্যকায় পানি সরবরাহ পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি)। জাতিসংঘে আইসিআরসি-এর স্থায়ী পর্যবেক্ষক ল্যাটিটিয়া কোর্তোয়া বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা যুদ্ধরত পক্ষগুলোর জন্য আবশ্যক। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর সরবরাহ যত দ্রুত সম্ভব পুনরায় চালু করতে সহায়তা করার জন্য আমরা আহ্বান জানাই।

বর্তমানে গাজায় আইসিআরসি-এর শতাধিক সদস্যের একটি দল রয়েছে। কোর্তোয়া বলেন, তারা এখনও ক্ষতিগ্রস্ত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক করার চেষ্টা করছে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্যারামেডিকদের সহায়তা করার চেষ্টা করছে। আমরা বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষের সহায়তায় কাজ করার চেষ্টা করছি।

মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত সপ্তাহে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামের একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের এই অভিযানে ২৮৬ সেনাসদস্যসহ ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার ইসরায়েলি। এছাড়া আরও বহু মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস।

পরে হামাসের হামলার প্রতিশোধে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্ত প্রাচীরের কাছে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শত শত ট্যাংক। আশঙ্কা করা হচ্ছে— যে কোনও সময় গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হতে পারে।

ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের অত্যন্ত সুরক্ষিত বাধা অতিক্রম করে ১,৩০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা করার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে, ইসরায়েল প্রায় এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো গাজায় সম্ভাব্য স্থল-আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই আক্রমণ ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলবে। ইতিমধ্যে অবরুদ্ধ ছিটমহলে চালানো তাণ্ডব বিগত চারটি যুদ্ধকে ছাড়িয়ে গেছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ২০০৭ সাল থেকে গাজায় যে অবরোধ চলছে, তার ওপর নতুন করে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top