রেকর্ড পতন ২০২২ সালের পর
ভারতের রুপি এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে মানহীন
নয়াদিল্লি, ২৫ নভেম্বর | প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৮
চলতি বছর পুরো এশিয়ায় সবচেয়ে বড় ধস দেখা গেছে ভারতের রুপিতে। ২০২২ সালের পর ডলারের বিপরীতে রুপির মান রেকর্ড হারে কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর প্রধান কারণ হলো আমেরিকার উচ্চতর শুল্ক এবং ভারতীয় শেয়ারবাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক মূলধন উত্তোলন।
ব্লুমবার্গের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (বিআরআই) গত জুলাই থেকে রুপির মান স্থিতিশীল রাখতে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের বিদেশি মুদ্রা বিক্রি করেছে। মধ্য অক্টোবর থেকে আবারও রুপির পতন ঠেকাতে একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
কিন্তু ২১ নভেম্বর ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৯.৪৯। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিআরই সম্ভবত আমেরিকার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনার মধ্যে তার রিজার্ভ ধরে রাখতে এই মুহূর্তে ব্যবস্থা বন্ধ রেখেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে রুপির মান পতন শুরু হলেও মার্চ ও এপ্রিলে কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা যায়। মার্চে ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য ছিল ৮৩.৭৫। এ সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আশা করেছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে সহজে বাণিজ্য চুক্তি হবে এবং ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্কহার কমানো হবে।
তবে জুলাই থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও অস্ত্র কেনার জন্য ভারতীয় পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। আগস্টে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। ফলে রুপির মূল্য প্রতি ডলারে ৮৮ ছাড়িয়ে যায়। সেপ্টেম্বরেও রুপির মান কমে যায়, যখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার থেকে ১৬.৩ বিলিয়ন ডলার উত্তোলন করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের রুপির মান এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত হলে এবং শুল্কহার কমানো হলে রুপির মান আবার বাড়তে পারে। অন্যথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রার মান ধরে রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।