রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হক হত্যাকাণ্ডে নেপথ্য তথ্য ফাঁস

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:১২

সংগৃহীত

রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে হত্যার পর মরদেহ একই ঘরে রেখে রাত কাটানো এবং পরবর্তীতে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন গ্রেফতার হওয়া শামীমা আক্তার ওরফে কোহিনুর।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সংবাদ সম্মেলনে জানান, শামীমার প্রাথমিক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে যে, হানি ট্র্যাপে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা ছিল। এই পরিকল্পনার মূল নায়ক ছিলেন নিহতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জরেজ।

শামীমার দাবি অনুযায়ী, আশরাফুলকে ঢাকায় ডেকে এনে তার সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল এবং সেই ভিডিও দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা আদায়ের উদ্দেশ্য ছিল। ড্রাগ ও হাতুড়ি ব্যবহার করে তাকে হত্যা করা হয়। শ্বাসরোধে আশরাফুল ঘটনাস্থলেই মারা যান।

মরদেহ একই ঘরে রেখে জরেজ ও শামীমা রাত্রীযাপন করেন এবং পরদিন মরদেহটি ২৬ টুকরা করে ড্রামে ভরে হাইকোর্ট এলাকায় ফেলে দেন। হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত দড়ি, কসটেপ, চাপাতি ও রক্তমাখা পোশাক শনির আখড়ার নূরপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, হত্যার নেপথ্যে মূল উদ্দেশ্য ছিল টাকা উপার্জন, তবে নৃশংসতার পেছনে পূর্বশত্রুতা আছে কি না তা তদন্তে জানা যাবে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠের কাছে নীল রঙের দুটি ড্রামে আশরাফুলের ২৬ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়। আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

আশরাফুল রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার ১০ বছরের একটি মেয়ে ও ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বাবা: মো. আবদুর রশীদ।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আশরাফুলের বোন আনজিরা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top