জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে নাশকতার আশঙ্কা, বিভিন্ন জেলায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:১০
দেশের বিভিন্ন জেলায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ও জাতীয় গুরুত্বের স্থাপনাগুলোতে আগুন লাগানো, গুজব ছড়ানো এবং অরক্ষিত অবস্থায় থাকার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন।
পিরোজপুর
শুক্রবার গভীর রাতে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে অবস্থিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে স্থানীয়রা স্মৃতিস্তম্ভের নিচে আগুনের চিহ্ন ও কালো দাগ দেখতে পান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটির একটি ভিডিওও ভাইরাল হয়েছে।
পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বাতেন বলেন, এটি শহীদদের প্রতি অবমাননাকর এবং পরিকল্পিত নাশকতা।
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের।
সাতক্ষীরা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাতক্ষীরা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন লাগার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তবে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো. শামিনুল হক বলেন, এটি সম্পূর্ণ গুজব। কোনো আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। উত্তেজনা ছড়াতেই এ ধরনের ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। এলাকায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পটুয়াখালী
জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসন স্মৃতিস্তম্ভসহ আশপাশের এলাকা সিসিটিভির আওতায় এনেছে। সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বগুড়া
সাতমাথায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনো সিসিটিভি বা স্থায়ী পাহারা নেই।
এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী রাফিয়া সুলতানা রাফি স্মৃতিস্তম্ভে জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি করেন।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. ফারজানা সনি জানান, বেষ্টনী থাকলেও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তবে বিদায়ী জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, সাতমাথার ব্যস্ত এলাকায় অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে।
টাঙ্গাইল
শামছুল হক তোরণের সামনে নির্মিত জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে সন্ধ্যার পর সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষায় সার্বক্ষণিক টহল চলছে। জেলা প্রশাসক শরীফা হক জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা
জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও জুলাই স্মৃতিস্তম্ভসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফ আল রাজিব বলেন, সাদা পোশাকে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা
জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ এলাকাসহ পুরো অঞ্চলে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় সার্বক্ষণিক পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।