লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা জহির হত্যার আগে ১১ জনের নাম বলে যাওয়া ভিডিও ভাইরাল

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯

ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার আগে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার পর ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মৃত্যুর আগে জহির তাঁর ওপর হামলার সম্ভাব্য দায়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করছেন। তিনি বলেন, “যদি আমার মৃত্যু ঘটে, তবে এদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।” বিশেষ করে তিনি তাঁর চাচাতো ভাই খোরশেদ, ছোট কাউসারসহ তিন ভাই, শাহ আলম, তাঁর দুই ছেলে, স্বপন, আলমগীর ও সুমনকে দায়ী করেন।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন জানান, ভিডিওটি পুলিশের নজরে এসেছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শাহ আলমের ছেলে ইমন হোসেন, মমিন উল্যাহর ছেলে আলমগীর হোসেন, এবং নুরুল আমিনের ছেলে হুসাইন কবির সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

এর আগে সোমবার বিকেলে নিহতের স্ত্রী আইরিন আক্তার চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় জহির ভিডিওতে যাদের নাম বলেছেন সেই ১১ জনসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, জহির আগেই আশঙ্কা করেছিলেন তাঁকে হত্যা করা হতে পারে। তাই এখন নামগুলো নিয়ে গ্রামের মানুষ ও স্বজনদের মধ্যে আরও তৎপরতা দেখা গেছে। তারা দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের মোস্তফার দোকান এলাকায় জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে অল্প দূরেই অবস্থান করছিলেন মামলার এক আসামি কাউসার হোসেন। একই রাতে রাত ৯টার দিকে তিনি তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি ক্রিকেট ভিডিও পোস্ট করে ‘আউট’ লিখেন যা নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে।

কাউসার দাবি করেছেন, ভিডিওটি তাঁর আইডি থেকে পোস্ট হলেও হত্যার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনার সময় তিনি বাজারে ছিলেন এবং বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জহিরের সঙ্গেও ছিলেন বলে জানান। তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ করছে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁরই জড়িত থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top