এখনও স্বীকৃতি পাননি সৈয়দপুরের বীরঙ্গনা ‘বুলবুলি’
সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে আমিরুল হক | প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৩৩
 
                                        এখনো নিরবে কাঁদেন মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রমহারা নারীরা। স্বাধীন বাংলাদেশ তাদের সবাইকে কি দিয়েছে সঠিক মর্যাদা? এমন প্রশ্নের উত্তর এখনো খুঁজে পাননি নীলফামারীর সৈয়দপুরের বীরাঙ্গনা নারী বুলবুলি। এ বীরঙ্গনা আর্তনাদ এখনও পর্দার আড়ালে রয়েছে।
উপজেলার খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী গ্রামের হাজীপাড়ার মরহুম তছির উদ্দিন সরকারের স্ত্রী বুলবুলি নামের এ বীরঙ্গনা স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন নিজ বাড়িতে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগীতায় পাক হানাদার বাহিনীর কাছে সম্ভ্রম হারায়। এ পাক হানাদার বাহিনীর বর্ববরতার কাহিনী মনে হলে বুলবুলি আজও নিরবে কাঁদেন। কারণ সে সময় স্থানীয় এলাকাবাসী অনেকেই তাকে কু-নজরে দেখেছেন। তিনি পাক হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারদের ভয়ে সে সময় বাড়ি থেকে বাহির হতে পারতেন না। ঘরের মধ্যেই বালু জমিয়ে প্রসাব পায়খানা করতেন এবং অনেক সময় ছেলে মেয়েদের নিয়ে অনাহারে দিন কাটিয়েছেন।
বুলবুলি আক্ষেপ করে বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পঞ্চাশ বছরেও অসংখ্য বীরাঙ্গনা এখনও সম্মানসূচক পদবী পাননি। শুনেছি ৭১ সালে যারা ইজ্জত দিয়েছে সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করছে। তা শুনে অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু এখনও কপালে জুটিনি স্বীকৃতি ও কোন ধরনের সহযোগীতা। তিনি সকল বীরঙ্গনাদের সম্মানসূচক পদবী দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন। সৈয়দপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার একরামুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একাত্তরে ধর্ষণের শিকার নারীরা ছিলেন সমাজে অবাঞ্চিত। লাঞ্ছনা, ধিক্কার ও তিরষ্কারের শিকার হয়ে আসছিলেন তারা। বীরাঙ্গনাদের সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে অনেকটা ভেঙে গেছে সমাজে বীরমাতাদের তিরষ্কৃত হওয়ার ধারণা।
এনএফ৭১/জুআসা/২০২১

 ভিডিও
                                        গ্যালারী
 ভিডিও
                                        গ্যালারী 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।