মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

আজ বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন মেহজাবীন

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:০৫

ফাইল ছবি

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। পাত্র দীর্ঘদিনের প্রেমিক দেশের জনপ্রিয় প্রযোজক ও পরিচালক আদনান আল রাজীব। কয়েকদিন থেকেই মিডিয়া পাড়া ব্যস্ত এ জুটির বিয়ের আয়োজন নিয়ে। গতকাল ছিল মেহজাবীনের গায়েহলুদ। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অদূরে একটি রিসোর্টে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এর আগে রোববার একই রিসোর্টে সম্পন্ন হয়েছে রাজীব ও মেহজাবিনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেও দুই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শোবিজের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে ছবি তোলা এবং ভিডিও করা বারণ ছিল। এর জন্য মাইক্রোফোনে ঘোষণাও দেয়া হয়।

আমন্ত্রিত অতিথিরা জানান, মেহজাবীন নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্‌দ, গায়েহলুদ এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের স্থিরচিত্র পোস্ট করবেন। এরপর অতিথিরা তাদের স্থিরচিত্র পোস্ট করার সুযোগ পাবেন।

এর আগে কারও ছবি পোস্ট করার অনুমতি নেই। জানা গেছে, গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজনে সব মিলিয়ে আড়াই শ অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন। এদিন মেহজাবীনের পরনে ছিল লেহেঙ্গা আর আদনান পরেছিলেন পাঞ্জাবি-পায়জামা।

১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে মেহজাবীন ও আদনানের আকদ সম্পন্ন হয়।

বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজিতে লেখা, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী ও গাজালা চৌধুরীর আদরের কন্যা মেহজাবীন চৌধুরীর সঙ্গে বাসেদুল আলম ও সাবেকুন নাহারের ছেলে আদনান আল রাজীবের বিয়েতে আপনি সাদরে আমন্ত্রিত।’

মেহজাবীন-রাজীবের প্রথম একসঙ্গে দেখা যায়, ২০১৮ সালের ১১ আগস্ট। সেদিনই প্রথম আদনান আল রাজীবের সঙ্গে সিঁড়িতে বসে থাকার একটি ছবি পোস্ট করে মেহজাবীন চৌধুরী ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘ধাপে ধাপে, সিঁড়ির পর সিঁড়ি, নিজেকে বিশ্বাস করো এবং তুমি থাকবে যেখানে।’

সেই থেকেই এই অভিনেত্রী ও পরিচালকের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়। এরপর কখনো তাদের একসঙ্গে বিপণিবিতানে হাত ধরে হাঁটতে দেখা গেছে, কখনো সিনেমা, রেস্তোরাঁয় আড্ডাসহ বিশেষ দিনগুলোয় পাশাপাশি পাওয়া গেছে দেশ-বিদেশে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের সম্পর্কের গুঞ্জনের খবর প্রকাশিত হলেও প্রেম নিয়ে মুখ খোলেননি কেউ। অবশেষে গুঞ্জন সত্যি হয়েছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top