• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৭:৪০

সংগৃহীত

খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন পাড়িয়ারডাঙায় স্ত্রী নূপুরকে হত্যার দায়ে স্বামী ওমর ফারুককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহামুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি ওমর ফারুক পাড়িয়ারডাঙা এলাকার রুস্তুম আলী ফারাজীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ওমর ফারুকের সঙ্গে নূপুরের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই ভোরে নূপুরের বাবা মো. খলিলুর রহমান জানতে পারেন তাঁর মেয়ে মারা গেছে। মরদেহ বাড়ির পাশের বাগানে পড়ে রয়েছে। সেখানে গিয়ে নূপুরের হাত ও মুখ বাঁধা মরদেহ দেখে তাঁর বাবার সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় মেয়ে জামাই ওমর ফারুককে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে পুলিশ আসামি ফারুককে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: বিনামূল্যে পাটবীজ পাচ্ছেন ৪ লাখ কৃষক

সূত্র আরও জানায়, ঘটনার তিন মাস আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। এ ঘটনায় প্রায়ই নূপুরকে মারধর করত তাঁর স্বামী ওমর ফারুক। বিষয়টি জানতে পেরে নূপুরের বাবা মেয়ে জামাইকে বাড়িতে ডাকেন। জামাইকে কিছু টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেয় তাঁর শ্বশুর। পরে মেয়েকে বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কে এম ইকবাল জানান, ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর খানজাহান আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমঙ্গল কুমার দাশ গৃহবধূর স্বামী ফারুককে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top