চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
বুধবার মামলার সূচনা বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরপর আদালতে দেখানো হয় দুটি ভিডিও ক্লিপ—যেখানে দেখা যায় নিরস্ত্র আবু সাঈদকে গুলি করা হচ্ছে। সেই দৃশ্য দেখে ট্রাইব্যুনালে বসেই চোখ মুছতে থাকেন তার বাবা মকবুল হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার প্রথম সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন তিনিই। এই মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে—এর মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল এবং পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা।
গত বছরের ১৬ জুলাই পার্ক মোড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ। তিনি ছিলেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তার হত্যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে তীব্র আন্দোলন শুরু হয় এবং পরে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটে।
একইসঙ্গে গৌরীপুরে তিন আন্দোলনকারীকে হত্যার মামলায় পুলিশের দুই সাবেক সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।