শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:০৩

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

টানা পাঁচ দিনের যুক্তিতর্ক শেষে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চে তিনি এ আবেদন জানান। এ সময় রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আদালতের বিবেচনায় ছেড়ে দেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান প্রসিকিউটর।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন,

“জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন। একজন মানুষকে হত্যার দায়ে যদি একবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তবে ১ হাজার ৪০০ মানুষের হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। তবে আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়।”

তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। এ দণ্ড কার্যকর হলে দেশের জনগণ ন্যায়বিচার পাবে বলে দাবি করেন তাজুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষ আরও আবেদন করেছে—অভিযুক্তদের সম্পত্তি বিক্রি করে শহীদ ও আহত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

আগামী সোমবার (২০ অক্টোবর) এ মামলায় শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। সেটি শেষ হলে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় যাবে।

এর আগে গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনকালে ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়া, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’-এর পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। গত ৬ অক্টোবর তার জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top