হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৮ খাবার, বাদ দিন এখনই

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৯

সংগৃহীত

অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাবের কারণে দেশে ও বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ফ্যাট ও কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে ধমনিতে বাধা সৃষ্টি করছে, ফলে হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। এর সঙ্গে ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতা যুক্ত হয়ে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তোলে।

পুষ্টিবিদরা জানান, বিশেষ করে কিছু খাবার হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট, চিনি ও লবণের পরিমাণ অতিরিক্ত হওয়ায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।

হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর ৯ খাবার

১. কোমল পানীয়

গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ১২ আউন্স সোডা জাতীয় পানীয়তে প্রায় ১০ চা-চামচ চিনি থাকে। নিয়মিত এসব পানীয় গ্রহণ ওজন বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কৃত্রিম চিনিও দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

২. সাদা ব্রেড ও অতিরিক্ত লবণ

সাদা ব্রেডের উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে অতিরিক্ত লবণ রক্তনালির ক্ষতি করে ও উচ্চ রক্তচাপের মাধ্যমে হৃদরোগ তৈরি করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ গ্রহণ ক্ষতিকর।

৩. প্রক্রিয়াজাত মাংস

সসেজ ও হট ডগের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও লবণের মাত্রা বেশি থাকে। গবেষণা বলছে, প্রতিদিন এসব মাংস খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

৪. ফাস্টফুড

ফাস্টফুডে থাকে অতিরিক্ত ক্যালোরি, চিনি, লবণ ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়।

৫. পিৎজা

পিৎজায় প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট, লবণ ও প্রক্রিয়াজাত মাংস ব্যবহৃত হয়। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের উচ্চ মাত্রা হৃদরোগীদের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর।

৬. আইসক্রিম

পরিশোধিত চিনি, ফ্যাটযুক্ত দুধ ও উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত আইসক্রিম শরীরে চর্বি বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তৈরি করে।

৭. কলিজা, মগজ ও হাড়ের মজ্জা

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গজাত খাবারে উচ্চ কোলেস্টেরল থাকায় এগুলো হৃদরোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের খাবার পরিহার করার পরামর্শ দেন।

৮. মাছের মাথা ও ডিম

মাছের মাথা ও মাছের ডিমে এলডিএল (ক্ষতিকর কোলেস্টেরল) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকে, যা রক্তের লিপিড প্রোফাইল বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পরিমিত শরীরচর্চা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান পরিহার এবং রক্তচাপ-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তনই হৃদযন্ত্রকে রাখতে পারে সুস্থ ও সবল।

সূত্র: হার্ভার্ড হেল্থ, কোয়ান্টাম মেথড, ওয়েবএমডি

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top