এক বছর পর বাংলাদেশ: পতনের পরও কেন আসেনি স্থিতিশীলতা?
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৭:২০

২০২৪ সালের ১৫ জুলাই—বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে শেখ হাসিনার সরকারের। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। দায়িত্ব নেন অন্তর্বর্তী সরকার—নেতৃত্বে শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. ইউনূস।
তখন অনেকেই ভেবেছিল—নতুন সূচনা আসছে, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তুৃ এক বছর পেরিয়ে গেছে, বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। এপি’র বিশ্লেষণে বলা হয়েছে—দেশে এখন ঐক্যের বদলে বাড়ছে বিভক্তি, অনিশ্চয়তা আর সংঘাত।
হাসিনার পতনের পর নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠন করেছে আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—অন্তর্বর্তী সরকারের ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের দমন করছে। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরত আসা, আর বিএনপি ও জামায়াতের ভিতরেই দ্বন্দ্ব, দেশের রাজনীতিকে করেছে আরও জটিল।
নির্বাচন? কবে হবে, কেউ জানে না! ডিসেম্বরে ভোট হবে—এমন কথা বলেছে সেনাপ্রধান। কিন্তু সরকার বলছে, আগে সংবিধান সংস্কার চাই। প্রধানমন্ত্রী মেয়াদের সীমা, প্রধান বিচারপতির নিয়োগ—সব নিয়েই চলছে বিতর্ক।
মানবাধিকার সংকটও রয়ে গেছে: সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর সহিংসতা, নিরাপত্তা বাহিনীর দায়বদ্ধতার অভাব—এখনও বড় সমস্যা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে—গুম-খুন কমেছে, কিন্তু স্থায়ী সংস্কারে নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কও বদলাচ্ছে: ড. ইউনূস এখন ভারতের বদলে চীনের দিকে ঝুঁকছেন। ভারত ক্ষুব্ধ—ভিসা বন্ধ, হাসিনাকে ফিরিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত—তারই প্রমাণ। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের এক সিদ্ধান্তে ইউএসএআইডির তহবিল বন্ধ হয়ে গেছে!
এক বছর পর বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে? ঐক্য নয়, ভাঙন! গণতন্ত্র নয়, দ্বিধা! এই সময়ের সামনে প্রশ্ন একটাই—কখন আসবে স্থিতিশীলতা? আর কীভাবে আসবে?
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।