• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


সুপেয় পানি পাচ্ছে না বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩, ২০:০৫

বিশ্বে সুপেয় পানির অভাব

সারাবিশ্বের প্রায় ২৩০ কোটি মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে না এবং ৩৬০ কোটি মানুষের নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি আরও জানায়, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে বিশ্বজুড়ে উন্নয়ন হুমকির মুখে পড়েছে। যে প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি খরা ও বন্যা সমস্যা আরও জটিল করে তুলেছে। ফলে জরুরি প্রয়োজনে পানি সমস্যার নিরসন করতে হবে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অভাব মানবজাতিকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। ২০১৯ সালে মৃত্যুর অষ্টম কারণ ছিল ডায়রিয়াজনিত। অভিযোগ করা হয় সারাবিশ্বে ২০১৯ সালে নিরাপদ পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে ১৫ লাখ মানুষ মারা যায়। বিশেষ করে নারী ও স্কুলগামী মেয়ে শিশুদের ওপর কঠোর প্রভাব পড়ে।

ইয়েমেনের উদাহরণ টেনে বিশ্বব্যাংক জানায়, ইয়েমেনের অগণিত গ্রামে মৌলিক পরিষেবার অভাব রয়েছে, তবে সেখানে নিরাপদ পানির অভাব সব থেকে বেশি। দেশটির জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশের বেশি প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে রয়েছে।

ইয়েমেনের আল-আদন, আল-আনিন এবং হাওফ- এই তিন গ্রামে পানির অভাব নিরসনে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। কীভাবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায় সেই বিষয়ে অর্থায়ন করেছে সংস্থাটি।

আল-আদন গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, আগে তার পরিবারকে পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ পথ হেঁটে যেতে হতো। কিন্তু বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ফলে সেই সমস্যা নেই। তিনি বলেন, আমাদের আর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পানি আনার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না। আমাদের দুঃখের অবসান ঘটিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, সুপেয় পানির জন্য এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলে রিটার্ন আসে তিন বিলিয়ন ডলার। গ্রামীণ এলাকায় পানির জন্য বিনিয়োগ করলে আরও বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। কৃষিকাজের জন্য পানি অপরিহার্য।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top