মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় কী বললেন পোপ ফ্রান্সিস?

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২৩, ২২:৫০

ছবি: সংগৃহীত

সুইডেনে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় পোপ ফ্রান্সিস ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হয়েছেন। সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদপত্র আল ইত্তিহাদে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ক্ষোভ জানান।

পোপ বলেন, পবিত্র বলে বিবেচিত যেকোনো গ্রন্থকে সম্মান করা উচিত। আমি এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত বোধ করি। কোরআন পোড়ানোর ঘটনা অনুমোদন দেওয়া অগ্রহণযোগ্য এবং নিন্দিত। তিনি আরও বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অন্যদের বিরক্ত করার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা করা উচিত।

বিশ্ব ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান এই ধর্মগুরু বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানানো, সবার প্রতি সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্বসূলভ আচরণ করা এবং ভালো কাজের বাস্তব রূপান্তর করা।

এ ঘটনায় এরইমধ্যে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মুসলিম বিশ্ব। সুইডিশ সরকার ও দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিশ্চুপ ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। ধর্মীয় বিদ্বেষ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক আইন ব্যবহার করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে ৫৭টি রাজ্যের একটি ইসলামিক গ্রুপ। রোববার তারা আরও বলেছে, পবিত্র কোরআনের অবমাননা রোধের জন্য সম্মিলিত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

ভবিষ্যতে পবিত্র কোরআনের অবমাননা এড়াতে মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) থেকে সম্মিলিত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানানো হয়। এ ঘটনায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানায়, পবিত্র কোরআন পোড়ানো বা অন্য যে কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো খুবই আক্রমণাত্মক কাজ এবং এটা সরাসরি উসকানি।

আল জাজিরা খবরে জানানো হয়, সুইডেনের সরকারও স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নিন্দা করেছে এবং এটিকে ‘ইসলামোফোবিক’ বা ইসলাম বিদ্বেষ মূলক কাজ বলে অভিহিত করেছে। আন্তর্জাতিক ইসলামি সংস্থা মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থের ভবিষ্যৎ অবমাননা এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানানোর পর সুইডিশ সরকার এই মন্তব্য করে।

গেল বুধবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ান দুই ব্যক্তি। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। এর আগেও সুইডেনে রাষ্ট্রীয় সমর্থনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের ঘটনা ঘটেছে ঈদুল আজহার কাছাকাছি সময় যখন পবিত্র মক্কায় লাখ লাখ মুসলমান হজ পালন করছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top