বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভির পদত্যাগ: ট্রাম্পবিষয়ক তথ্যচিত্রে পক্ষপাতের দায় স্বীকার

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে নির্মিত অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্রে পক্ষপাতের অভিযোগের জেরে পদত্যাগ করেছেন বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি। একই ঘটনায় পদত্যাগ করেছেন সংবাদমাধ্যমটির বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরাহ টারনেস।

রবিবার (৯ নভেম্বর) এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগের ঘোষণা আসে। খবর—এএফপি ও বিবিসি।

পদত্যাগপত্রে টিম ডেভি লিখেছেন,

“তথ্যচিত্রটিতে কিছু ভুল হয়েছে। মহাপরিচালক হিসেবে এর দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে।”

ডেবোরাহ টারনেসও এক বিবৃতিতে দায় স্বীকার করে বলেন,

“এর দায়ভার চূড়ান্তভাবে আমার।”

২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর প্রচারিত হয় ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্র। এতে অভিযোগ ওঠে, ট্রাম্পের ভাষণ ইচ্ছাকৃতভাবে সম্পাদনা করে বিভ্রান্তিকর বার্তা তৈরি করা হয়েছে।
সম্পাদিত অংশে এমনভাবে সংযোজন করা হয় যেন মনে হয় ট্রাম্প ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় তাঁর সমর্থকদের উসকে দিচ্ছেন।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেন,

“বিবিসি হলো শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম ও প্রোপাগান্ডা মেশিন।”

ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিবিসির একটি অভ্যন্তরীণ মেমো ফাঁস হয়। সেখানে স্বীকার করা হয়, ট্রাম্পের বক্তব্যের দুটি অংশ জোড়া লাগিয়ে বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার করা হয়েছিল।

এ নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক, যার পরিণতিতে টিম ডেভি ও ডেবোরাহ টারনেসের পদত্যাগ।

মেমোটি লিখেছিলেন বিবিসির সম্পাদকীয় মানদণ্ড কমিটির উপদেষ্টা মাইকেল প্রেসকট, যিনি গত জুনেই পদত্যাগ করেন। তিনিও ‘Trump: A Second Chance?’ নামের তথ্যচিত্রটির বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

বিবিসিকে ঘিরে এই বিতর্কে যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও গণমাধ্যমমন্ত্রী লিসা নন্দী বলেন,

“প্যানোরামা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। বিবিসির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে ধারাবাহিকভাবে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠছে, যা গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য হুমকি।”