উত্তরপ্রদেশে ‘সম্মানরক্ষা’র নামে কিশোরীকে হত্যা, গ্রেপ্তার বাবা-মা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮
ভারতের উত্তরপ্রদেশে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড। ‘সম্মানরক্ষা’র নামে নিজের মেয়েকেই হত্যা করেছেন এক দম্পতি। নিহত কিশোরীর নাম সারিতা (১৫)। ঘটনাটি ঘটেছে প্রয়াগরাজ জেলার কান্টি গ্রামে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, গত ৫ নভেম্বর রাতে সারিতাকে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে গ্রামের পাশের ঝোপে তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রয়াগরাজের যমুনা নগর এলাকার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) বিবেক যাদব জানান, তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি একটি ‘অনার কিলিং’ বা ‘সম্মানরক্ষায় হত্যা’র ঘটনা।
প্রথমে সারিতার বাবা রমেশ পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেন, মেয়েকে তিনিই হত্যা করেছেন।
রমেশের জবানবন্দিতে জানা গেছে, সারিতা গ্রামের কয়েকজন ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। এ নিয়ে রমেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। মেয়েকে নিষেধ করা সত্ত্বেও সে যোগাযোগ বন্ধ না করায় ক্ষোভে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান তারা।
রমেশ আরও জানান, ঘটনার রাতে সারিতার মা তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেন। এরপর বাবা-মা মিলে মেয়েকে বাড়ি থেকে প্রায় ৭০-৮০ মিটার দূরে নিয়ে যান। সেখানে রমেশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়ের গলা কেটে হত্যা করেন।
পুলিশ হত্যার অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং সারিতার বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিসিপি বিবেক যাদব বলেন, “এটি নিছকই একটি ‘সম্মানরক্ষায় হত্যা’। মেয়ের স্বাধীন যোগাযোগ ও পারিবারিক লজ্জার ভয়ে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।”
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।