লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি: ৪২ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৬
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলে ইউরোপে যাওয়ার পথে একটি রাবারের নৌকা ডুবে অন্তত ৪২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, নিখোঁজ সবাই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, সমুদ্রে ছয় দিন ভেসে থাকার পর ডুবে যাওয়া ওই নৌকার মাত্র সাতজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৪২ জনের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আইওএম-এর তথ্যমতে, নিখোঁজদের মধ্যে ২৯ জন সুদান, ৮ জন সোমালিয়া, ৩ জন ক্যামেরুন এবং ২ জন নাইজেরিয়ার নাগরিক। উদ্ধার হওয়া সাতজনের মধ্যে চারজন সুদান, দুজন নাইজেরিয়া এবং একজন ক্যামেরুনের নাগরিক।
লিবীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে নৌকাটি লিবিয়া উপকূলের আল-বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার ছয় দিন পর জীবিত উদ্ধার করা হয় মাত্র সাতজনকে।
উন্নত জীবনের আশায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। লিবিয়া ও তিউনিশিয়া এই বিপদসংকুল যাত্রার প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত। প্রায়ই এসব দেশ থেকে ইউরোপগামী নৌকা ডুবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
২০১১ সালে দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এরপর থেকেই দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বহুবার সতর্ক করে জানিয়েছে, লিবিয়ায় অবস্থানরত অভিবাসীরা নির্যাতন, যৌন সহিংসতা এবং মানবপাচারের গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবুও দারিদ্র্য, সংঘাত ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে প্রতিদিনই নতুন নতুন অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরের এই বিপদসংকুল পথ বেছে নিচ্ছেন।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।