বসুন্ধরা গ্রুপের কালের কণ্ঠের ডিক্লারেশন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৩১

বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন পত্রিকাটির সাবেক ১১ সাংবাদিক।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয়।
আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে— তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এবং কালের কণ্ঠ-এর প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীকে।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন সাংবাদিক হানযালা হান। তিনি বলেন, চাকরি ছাড়ার পর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে যে ব্যাংক চেকগুলো দিয়েছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে ব্যাংকে জমা দিলে ‘অপর্যাপ্ত তহবিল’ দেখিয়ে ফেরত আসে।
অন্য আবেদনকারীরা হলেন— মো. শাহ আলম, মো. জাহেদুল আলম, কাকলী প্রধান, দেওয়ান আতিকুর রহমান, আবু সালেহ মোহাম্মদ শফিক, কে এম লতিফুল হক, আসাদুর রহমান, মো. রোকনুজ্জামান, শামসুন নাহার ও মো. লতিফুল বাশার (লিমন বাশার)।
হানযালা হান বলেন, “প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস (ডিক্লারেশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৩-এর ২০ ধারা অনুযায়ী সরকার যে কোনো সময় কোনো পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করতে পারে, যদি কর্তৃপক্ষ সেই পত্রিকা চালানোর প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাতে ব্যর্থ হয়।”
তিনি আরও জানান, “চেকগুলো ফেরত আসায় এটি প্রমাণ হয় যে কালের কণ্ঠ পত্রিকা পরিচালনায় প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে পারছে না। তাই আমরা ওই ধারার আলোকে ডিক্লারেশন বাতিলের আবেদন জানিয়েছি।”
একই সঙ্গে ১১ সাংবাদিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিস পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালের কণ্ঠ-এর প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একসময় আমরা একই পরিবারের সদস্য ছিলাম। উনাদের প্রতি আমাদের সিমপ্যাথি আছে। পাওনা নিয়ে হয়তো কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করতে চাই।”
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।